ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

বান কি মুনের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বৈঠক, সংলাপের তাগিদ

শিহাবউদ্দীন কিসলু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৪
বান কি মুনের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বৈঠক, সংলাপের তাগিদ

নিউইয়র্ক: গণতন্ত্রে নির্বাচন বয়কটকে জাতিসংঘ সমর্থন করেনা, সংলাপের মাধ্যমেই সব সমস্যা সমাধান সম্ভব। এ কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বানকি মুন।



বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দফতরে সফররত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় বাংলাদেশের বিরাজমান রাজনৈতিক সঙ্কট মেটাতে নতুন করে সংলাপের তাগিদ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

পরে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি জানান, অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার কমানো, দারিদ্র বিমোচনে সফলতা এবং দুর্যাগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

এসময় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন, নির্বাচনের পর দেশে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। দেশের মানুষ সংঘাত চায়না।

কিছু সমস্যা এখনো বিরাজমান রয়েছে, সেগুলো কাটিয়ে উঠার জন্য এবং জনগণের মঙ্গলে বর্তমান সরকার কাজ করছে বলেও বৈঠকে তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি।

এর উত্তরে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রে  নির্বাচন বয়কটকে জাতিসংঘ সমর্থন করেনা। সংলাপের মাধ্যমেই সব সমস্যা সমাধান সম্ভব।

বৈঠক নিয়ে বাংলানিউজের কথা হয় রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এহসানুল করিমের সঙ্গেও।   তিনি বলেন, আলোচনায় জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশেকে বিশ্বের উন্নয়নে জাতিসংঘের অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন।
 
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এসময় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে শীর্ষস্থানীয় পদে এবং  জাতিসংঘের বেসামরিক প্রশাসনে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ানোর আহবান জানান।

মহাসচিবকে এসময় তার অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাাদেশি সেনা পাঠানোর যে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তা স্মরণ করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি।
 
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব আরো জানান, রাষ্ট্রপতি জাতিসংঘ মহাসচিবকে আশ্বস্ত করেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তায় সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

আলাচনার সময় জাতিসংঘের মহাসচিবের সাথে ছিলেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আমিরা হকসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র সচিব শেখ আলতাফ আলী, রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আবুল হোসেন ও প্রেস সচিব এহসানুল করিম।

পরে ওই সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির হোটেল সুইটে তার সঙ্গে দেখা করেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমিরা হক।  

এর আগে বিকেলে রাষ্ট্রপতি সস্ত্রীক বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শন করেন। এসময় মিশনের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি শুধুমাত্র দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করতে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালনের উপদেশ দেন।

রাতে রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির উদ্যোগে সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন। শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

বাংলাদেশ সময় ১৪২১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ