দেড় বছর হতে আরও একমাস বাকি। এর আগেই হিসাব বেরিয়েছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত স্রেফ বক্তৃতা দিয়েই ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার কামাই করেছেন হিলারি ও বিল ক্লিনটন।
যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তার জন্যই তহবিল সংগ্রহের কাজ চলছে। সার্বক্ষণিকভাবে পাশে থেকে সহযোগিতা দিচ্ছেন আর উৎসাহ যোগাচ্ছেন তার স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। বক্তৃতা থেকে পায় আড়াই কোটি ডলারসহ প্রায় দেড় বছরে তাদের মোট সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ডলার। বাকি ৫০ লাখ ডলার এসেছে হিলারির বই হার্ড চয়েসেস’র রয়্যালটি থেকে। আসছে জুনে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বইটি।
সরকারি তথ্য মতে, স্রেফ এই আয় হিলারি ও বিল ক্লিনটনকে দেশের জনসংখ্যার মোটে ০.১ শতাংশ উচ্চ আয়ের ধনিদের তালিকায় তুলে এনেছে।
তবে ২০১৬ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের প্রার্থীদের মূল প্রতিপাদ্য হয়ে থাকছে ধনি দরিদ্রের অর্থনৈতিক বৈষম্য।
গেলো মাসে হিলারি ক্লিনটন তার প্রার্থীতা ঘোষণার সময় বলেছিলেন, ‘প্রতিটি দিনই আমেরিকানদের একজন চ্যাম্পিয়ন প্রয়োজন হয়, আর আমি সেই চ্যাম্পিয়নই হতে চাই’।
গোড়ার দিকে ক্যাম্পেইনগুলোতে তার বক্তৃতায় একটি বিষয় আসতো, তিনি মনে করেন মধ্যবিত্ত আমেরিকানদের জীবন স্থবির হয়ে গেছে, তিনি এই স্থবিরতার তাসগুলো রিশাফল করতে চান।
২০০১ সালে প্রেসিডেন্সি ছাড়ার পর বিল ক্লিনটনের অন্যতম আয়ের উৎস হয়ে ওঠে তার বক্তৃতা। আর ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর হিলারিও শুরু করেন একই কাজ।
বলা হচ্ছে প্রতিটি বক্তৃতায় তার আয় হয় ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে।
গোল্ডম্যান সাচজ, ব্যাংক অব আমেরিকার মতো অর্থ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্থের বিনিময়ে বক্তৃতা করাই তাদের কাজ।
মে মাসেই ব্যক্তিগত একটি অ্যাকাউন্ট খুলে এই অর্থ জমা রাখার ঘোষণা দিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। আর সেই অ্যাকাউন্ট রিভিউ করে দেখার সুযোগ থাকবে সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছেও।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে প্রার্থীদের তাদের নিজ নিজ সম্পত্তির ও আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে বলেছে।
বাংলাদেশ সময় ১৫৫৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৫
এমএমকে