বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘এজেন্ডা ২০৩০ এর সমন্বিত বাস্তবায়ন: স্বল্পোন্নত ও স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ, উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র এবং যুদ্ধাবস্থা থেকে উত্তরণশীল দেশসমূহে জাতিসংঘ উন্নয়ন ব্যবস্থার ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
চতুর্বার্ষিক সামগ্রিক পলিসি রিভিউয়ে (কিউসিপিআর) ওপর জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ আয়োজিত (ইকোসক) এই আলোচনায় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জাতিসংঘের উন্নয়ন সহায়তা ২০১৪ সালের ৫৩ শতাংশ থেকে ২০১৫ সালে ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
স্বল্পোন্নত দেশসমূহের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নির্মূল, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য সামাজিক সেবার উন্নয়ন, জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা এবং নিজস্ব সামর্থ্য সৃষ্টিতে অবদান রাখতে প্রতিমন্ত্রী জাতিসংঘ উন্নয়ন ব্যবস্থায় (ইউএনডিএস) আরও অর্থের যোগানের প্রতি জোর দেন।
আব্দুল মান্নান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশসমূহের তথ্য, পরিসংখ্যান, নলেজ প্লাটফর্ম- এসব ক্ষেত্রের পাশাপাশি জাতীয় লক্ষ্য বাস্তবায়নেও জাতিসংঘের সহায়তা প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী এই আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন এজেন্ডা ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) বাস্তবায়নে সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি এসডিজিকে দেশের জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে এবং এর বাস্তবায়ন কাজ সফলতার সঙ্গে এগিয়ে চলছে বলেও উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে গত বছর সাধারণ পরিষদে গৃহীত কিউসিপিআর রেজুলেশনের বাস্তবায়ন বিষয়েও আলোচনা করা হয়। ইউএনডিএস যেন আরও কার্যকরভাবে এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়ন করতে পারে সে বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া এ আয়োজনের লক্ষ্য ছিল।
সভায় স্বল্পোন্নত দেশসমূহের বিশেষ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে ইউএনডিএস’র প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়।
প্রয়োজনীয় কৌশলগত পরিকল্পনা ও অপারেশনাল কার্যক্রম গ্রহণ এবং ইউএনডিএসের কর্মসূচিসমূহের সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যমে এলডিসি দেশগুলোকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশের এ প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পাশাপাশি প্যানেলিস্ট হিসেবে আরও অংশ নেন তানজানিয়া, মালদ্বীপ ও প্যারাগুয়ের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৭
এইচএ/