আমেরিকান বিখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের অসামান্য সৃষ্টিকর্ম নিয়ে এই বুধবার (১৭ এপ্রিল) থেকে প্রদর্শনীটির যৌথভাবে আয়োজন করেছে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও এস্তোনিয়া স্থায়ী মিশন।
স্থপতি ও ফটোগ্রাফার আর্নে ম্যাসিকের পরিকল্পনায় এই চিত্র প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে এস্তোনিয়ায় জন্মগ্রহণকারী মার্কিন স্থপতি কানের নকশা করা জগদ্বিখ্যাত স্থাপনাসমূহের বিভিন্ন মডেলও।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কারস্তি কালজুলেইড, বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দে এস্পিনোসা গার্সেজ এবং লুই আই কানের ছেলে ন্যাথানিয়েল কান উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনীতে আগত বিপুল দর্শনার্থীরা ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ’র মডেল দেখে মুগ্ধ হন। তারা বলেন, লুই আই কানের হৃদয়সৃষ্ট এই নকশা বন্ধুত্বের এক অবিনাশী স্মারক হয়ে থাকবে। এই স্থাপত্য বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যেও গড়ে দিয়েছে অটুট বন্ধুত্বের বন্ধন। ইতালির নাগরিক ও ইন্টারন্যাশনাল সিভিল সার্ভিস কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলদো মানতোভানি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নকশা সত্যিই বিস্ময়কর। বাংলাদেশের মতো ইতালির সংসদ ভবন এতো চমৎকার নয়। আমার খুব ইচ্ছে, আমি বাংলাদেশের সংসদ ভবন পরিদর্শন করবো।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সংসদ ভবনের স্থাপত্যশৈলী নান্দনিক এতো কোনো সন্দেহ নেই। এটি আমাদের গৌরব।
বাংলাদেশের সংসদ ভবনকে লুই আই কানের অন্যতম সেরা স্থাপনা হিসেবে উল্লেখ করে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কারস্তি কালজুলেইড বলেন, কানের সৃষ্ট ভাস্কর্যসমূহ ন্যায়, স্বাধীনতা ও মর্যাদার প্রতীক; যার জন্য জাতিসংঘ কাজ করছে।
কানের ছেলে ন্যাথানিয়েল ক্যান তার বাবার স্থাপত্যকর্মের দর্শন ‘মানবীয় ঐকমত্য’র কথা উল্লেখ করে বলেন, আজকের পৃথিবীতে এটি বড়ই প্রয়োজন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, এস্তোনিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি সিভেন জুরগেনসনসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এমআইএস/এইচএ/