১৪.
মাটির বুক চিরে,
যাওয়া যাক গভীরে।
সন্দীপ মুখার্জির সঙ্গে আছি।
তিনি বললেন, ‘ভালো ঝামেলায় ফেলেছো তো ছেলে’।
আমি হাসলাম। তিনিও হাসলেন।
বললাম, ‘কয়েকটা দিন মাত্র’।
তিনি বললেন, ‘থাকো। যে কয়টা দিন থাকার ইচ্ছে’।
মায়ের অপারেশন সফল হয়েছে। বারো ঘন্টার অপারেশন। অনেক কাটাকুটি হয়েছে। মায়ের জ্ঞান ফেরেনি। হুট করেই চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অপারেশনটা করার। তার সিদ্ধান্ত ভুল না সঠিক সেটা বিচার করার সময় এখনও আসেনি মনে হয়।
সন্দীপ মুখার্জির বাড়িতে এসে উঠেছি। কেন জানি আমার মনে হলো, এতো বড় শহরে তিনিই এখন এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে আপনজন, শুভাকাঙ্ক্ষী।
হাসপাতালে মামা আছেন। মায়ের কখন জ্ঞান ফিরবে ঠিক নেই। জ্ঞান ফেরার পরপরই মামা চান, তার বোন তাকে দেখুক। আমি মাকে দেখেছি। আইসিইউতে কাঁচের আড়ালে। কী সুন্দর বোকাসোকা একটা চেহারা। কেন জানি মনে হয় সবাই স্মার্ট হচ্ছে, চালাক হচ্ছে কিন্তু আমাদের মায়েরা সেই সাধাসিধেই আছে। কেমন বোকা বোকা আর মায়া মায়া। খালি ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।
মাঝ দুপুরে নীল আকাশে দুনিয়ার মেঘ। নীলের আড়াল হতে উঠি উঠি করছে মেঘগুলো। একেক সময় একেক আকারে আসছে তারা। গোপন নিড়ানি দিয়ে মেঘের শরীর কেটে কেটে আকার আনছে কেউ একজন যেনো। সূর্যের আলো নিস্তেজ, ক্লান্ত।
চোখে আসে এসব। যেখানে বসে আছি এর পাশেই পুরনো দিনের বাড়ির মতন মস্ত জানালা। গ্রিল নেই।
‘মাকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছে?’ বলেন সন্দীপ মুখার্জি। তাকে দেখে মনে হয় না তিনি এ ধরনের আলাপ সচরাচর করেন। আমার প্রতি তার করুণার কারণ জানা নেই।
‘জ্বি হচ্ছে। ’
‘ভগবান ভালো করবেন। এখন যাও। আমার ব্যস্ততা আছে আর যতোদিন থাকতে চাও থাকতে পারো তবে হ্যাঁ, আজীবন থাকার প্লান কোরো না। ’ বলে হাসেন সন্দীপ মুখার্জি। সুন্দর হাসি। ক্ষমতাবান খারাপ মানুষ এই লোকটার ভালো এ দিকটা চোখে পড়েনি কখনও।
কথা বলে সন্দীপ মুখার্জি চলে যান। আমি বসে থাকি বৈঠকখানার ঘরটায়। রাজ্যের মানুষ আসছে-যাচ্ছে এই ঘরে। নিজেদের কাজ সেরে নিচ্ছে। আমাকে নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। ঘরে অচেনা একটা লোক যে আছে সেটা কেউ খেয়াল করছে না।
একটা লোক এসে খাসির মাংস আর রুটি দিয়ে যায়। সঙ্গে পানি আর লাড্ডু। আমি খেয়ে নেই। হাসপাতালে যেতে হবে। মামার পাশে গিয়ে বসতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে মায়ের জ্ঞান ফেরার।
বাবার সঙ্গে কথা হবে আজ। লোকটা বুড়িয়ে গিয়েছে। বয়স কিন্তু বেশি না। মধ্যবিত্ত বাবাদের চল্লিশের পরেই মৃত্যুচিন্তা ঢুকে যায় মাথায়। তারা ভাবে, আমি মরে গেলে পরিবারটার কী হবে!
মাথায় তার হাজারো দুশ্চিন্তা। শেষ যেদিন কথা হয়েছে সেদিন বাবাকে স্বাভাবিক মনে হয়নি আমার। কেমন থেমে থেমে কথা বলছিল। মনে হচ্ছিল, অনেক কথা রেখে দিয়েছে ভেতরে। যা বলছে সেটা অল্প, সামান্য। না বললেই নয় এমন কিছু।
খেয়ে বের হই বাইরে। হাসপাতালে যাবার আগে একবার বুনোর বাসা হয়ে যাওয়া দরকার। ওর বাসায় আমার কাপড়-চোপড় আছে কিছু। আগের দিন মামা নিয়ে আসতে পারেননি সব। আজ গিয়ে বুনোর সামনে পড়তে চাই না। এখন বুনোর বাসায় থাকার কথা না। সেই হিসেব করেই যাচ্ছি। বুনো কেন বের করে দিলো, আমার-আমাদের অপরাধ কী ছিলো এই কাসুন্দি ঘাঁটার ইচ্ছে নেই।
সব হিসেব-নিকেশ চুকানোর সময় চলে এসেছে। বুনোকে নিয়ে পড়ে থাকলে আমার হবে না। আমাকে ভাবতে হবে আমার পরিবার নিয়ে। সম্পর্ক বাড়ানোর জটিলতায় এখন আর যাওয়া আমাকে মানায় না।
পুরো কলকাতাজুড়ে আজ ধুন্ধুমার জ্যাম। নেমে ট্যাক্সি নিয়ে নেই। পৌঁছাতে একটু সময় লাগে। বুনোর বাসায় ঢুকেই দেখা হয়ে যায় বুনোর মায়ের সঙ্গে। আমাকে দেখে বলেন, ‘তোমার কিছু কাপড় আছে। গুছিয়ে রেখেছি আমি। নিয়ে যেও আর শোনো, আমি কিন্তু চাইনি তোমার মায়ের এমন অবস্থায় তোমাদের যেতে বলা হোক। সত্যি বলছি আমি’।
আমাদের বের করে দেওয়ার জন্য বুনোর মাকে একটু অপরাধী মনে হয়। তিনি আমাকে ভেতরে বসতে বলেন। বসতে না বসতেই চা আর বাসি বিস্কুট আসে। অপরাধবোধ থেকে করা বুনোর মায়ের এই কাণ্ড দেখে আমার হাসি পায়।
চায়ের চুমুক দিতেই ভেতরের ঘর থেকে বুনো এসে হাজির হয়। ভিমড়ি খাওয়ার দরকার ছিলো হয়তো আমার কিন্তু খুব স্বাভাবিক থাকি। বুনো এসে আমার পাশের সোফাটায় বসে। তারপর একটু থেমে কথা বলা শুরু করে।
‘জ্ঞান ফিরলো তোমার মায়ের?’
‘না। এখনও না। তোমার তো জানার কথা। ’ চায়ে চুমুক দিয়ে বলি। চায়ে চিনি ভর্তি। শরবতের মতো লাগে।
‘হাসপাতালে যাইনি তাই জানি না। শরীরটা ভালো না। মেয়েলি ব্যাপার। ’
‘ও। ’ কী বলা উচিত না বুঝতে পেয়ে এই সামান্য ‘ও’ শব্দটা দিয়ে আলাপ শেষ করার চেষ্টা করি।
বুনোর শরীর ভালো না সেটা বোঝা যাচ্ছে। একদিনেই চোখের নিচে গাঢ় হয়ে কালশিটে পড়েছে। মাথার চুল এলোমেলো। রক্তবর্ণ চোখ। মনে হয় অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
‘তোমাদের ওইদিন বের না করে দেওয়া ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিলো না। ’
‘ঠিক আছে তো। তোমাদের বাসা। তোমরা তোমাদের ইচ্ছেমতনই তো সব করতে পারো। এতে দোষ নেই। ’
‘আমি জানি ভুল বুঝেছো তুমি আমাকে। ’ কথার মাঝখানে ভেঙে ভেঙে কাঁশি দেয় বুনো। শরীর ভালো নেই মেয়েটার মানতেই হয়।
‘এই নিয়ে আর কথা বলতে হবে না। তোমার শরীরও খারাপ মনে হচ্ছে। ’
‘না আমি বলবো। বলতেই হবে। ঠিক আছি আমি। আমাকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। ’ চেঁচিয়ে বলে বুনো। তার মা ছুটে আসে আওয়াজ শুনে। কিন্তু এসেই বুনোকে দেখে ভয় পায়। বুনোর রাগ, ফুলে ওঠা চোখ-মুখ দেখে তার মা ঘাটানোর সাহস পায় না।
ঘরে শুধু আমি আর বুনো। টেবিলে চায়ের কাপটা রেখে আমি কথা বলি।
‘বলো যা বলতে চাও। আমার তাড়া আছে। হাসপাতালে যেতে হবে। ’
‘রজত দেশে ফিরতে রাজি। ’
‘তোমার ছেলেবন্ধু?’
‘হুম। মানুষটা ভালো ও। আমাকে অন্ধের মতন ভালোবাসে। তাই হয়তো কোনদিন জরুরি কিছু মনে করিনি ওকে। কাছের মানুষগুলোর মূল্য আমরা বুঝি না। ’ এইটুকু বলে একটু থামে বুনো। তারপর আবার কথা শুরু করে।
‘রজতের ফিরে আসার শর্ত হচ্ছে তোমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করা। ওর কথাতেই আমি অস্থির হয়ে তোমাদের বের করে দিতে বাধ্য হয়েছি। ও টের পেয়েছে সব। তোমার আর আমার ভেতরে ঘটে যাওয়া সবকিছু ওর জানা। আমিও লুকানোর চেষ্টা করিনি কিছু ওর কাছে। সব বলে দিয়েছি। ওর সঙ্গেই যেহেতু সামনের দিনগুলো কাটবে তাই লুকোছাপায় যাওয়া ঠিক হবে না।
‘ভালো তো। ’ আমি বলি।
‘আরও কথা আছে। আমাকে শেষ করতে হবে। শেষ করতে দাও। এরপর কথা বোলো তোমার যা বলার। ’ বলে বুনো। অনেক অস্থির মনে হয়। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে মেয়েটার বোঝা যায়। আচমকা ওর চারপাশে বাতাসের যেনো কমতি পড়েছে। আমি শুনে যাই। ও যা বলছে সেখানে আমার বলার কিছু নেইও। কিংবা বলাটাও ঠিক হবে না।
‘আমার তো কোনো অবলম্বন নেই আর। আমার কিছু করার ছিলো না। যেনো ভুল না বোঝো তাই বললাম। রজত ফিরবে শীঘ্রই। আমি সবকিছু ঠিকঠাক চাই আর তোমার সঙ্গে যোগাযোগও রাখতে চাই না।
‘আমি কিন্তু তোমাকে জোর করিনি। তুমিই বরং...’ আমি কথা শেষ করতে পারি না তার আগেই বুনো আবার বলা শুরু করে।
‘জানি আমি। অপরাধ আমার, স্বীকার করেও নিচ্ছি। ভালো থাকো। তোমার মা সুস্থ হোক আর যতোদিন দেশে আছো কোনো কাজে লাগলে আমাকে বললেই ছুটে আসবো। ’ বুনোর চোখে জল।
‘আমার কিছু বলার নেই। ’ বলে আমি ওঠার জন্য সোফা থেকে উঠে দাঁড়াই। আমার ভেতরের পুরুষটা কেমন যেনো স্বার্থপর হয়ে ওঠে। রজতকে সহ্য করতে পারে না। আমি অপেক্ষা করি না। বের হয়ে যাই। জোরে জোরে হেঁটে সোজা পোঁছাই হাসপাতালে।
বুনোকে নিয়ে অনেক হয়েছে। এসবের অবসান হোক এখন। বুনো আর রজত ভালো থাকুক। সবাই ভালো থাকুক। আমার এসবে দরকার নেই। আমি শুধু নিজেরটা ভাববো। মা, রুবি আর বাবার কথা ভাববো। ব্যাস্।
হাসপাতালে মামার সঙ্গে দেখা হয়। মামা জানান, মায়ের জ্ঞান ফেরেনি এখনও। তাকে বলি বাসায় যেতে। শোনেন না। বোনের জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত তিনি কোথাও নড়বেন না এই তার এককথা।
আমি জোরাজুরিতে যাই না। মাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু নিয়ম নেই। অপু ভাই আসবে একটু পর। আমি মামাকে এই কথা বলে আবার হাসপাতালের নিচে নামি। বাবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। টেলিফোন বুথ থেকে কল করি। আমার কিছুই ভালো লাগে না। কেউ যদি আমাকে একটু ভালো থাকার, ভালো রাখার আশ্বাস দিতো!
‘তোর মা কেমন আছে?’ হ্যালো না বলেই টেলিফোনে ওপাশ থেকে কথা শুরু করে বাবা।
‘জ্ঞান ফেরে নাই। ’
‘ফিরবে বলে মনে হয়?’
‘এটা কী ধরনের প্রশ্ন বাবা?’ আমি বলি। বাবার প্রশ্ন শুনে অবাক হই।
‘তোকে আমার একটা কথা বলতে হবে। ’ কাঁপা কাঁপা কণ্ঠ বাবার।
‘বলো। ’ আমার বিরক্ত লাগে।
‘ঠিক সময় এখন কিনা জানি না কিন্তু তুই বাড়ির বড়ছেলে তাই তোর জানা দরকার। ’
‘এমন ভনিতা করছো কেন বাবা? তাড়াতাড়ি বলে ফেলো। ঝামেলা কোনো?’ আমার অস্থির লাগে।
‘তোর ওখানে আছে...ও তো দেখা করেছে তোদের সঙ্গে। ’
‘কার কথা বলছো? তোমার বান্ধবী?’
‘ওর সাথে আমার একটা সম্পর্ক। তুই এখন বড় হয়েছিস...। তোর মায়ের ঠিক নাই...। ’ এতোটুকু বলতেই থামিয়ে দেই আমি।
‘বুঝেছি বাবা। ঠিক আছে। আমি ফোন রাখি হ্যাঁ? পরে কথা বলবো। মাকে দেখতে হবে। দেখার মানুষগুলো কমে যাচ্ছে তো। এটা বলেই ফোন রাখি। ওপাশে বাবার কথা শোনার জন্য আর অপেক্ষা করি না।
আমার ভেতরে কিছু হয় না। অস্থির হবার কথা ছিলো। হই না।
ধীরে ধীরে অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে হয়তোবা। আবার মামার কাছে যাই। মামা ক্রিটিক্যাল কেয়ারের সামনে দাঁড়ানো। ভেতরে মা। দেখা যায় না। ঝাপসা আধুনিক কাচের জানালার ওপাশে দাঁড়িয়ে থাকি আমি আর মামা। পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায়, নিরীহ মানুষ দু’টো।
‘কথা হয়েছে তোর বাবার সঙ্গে?’ বলে মামা আমার দিকে তাকিয়ে।
‘হ্যাঁ। ’
‘কী বলে?’
‘মায়ের খবর জানতে চাইলো। ’
‘ও আচ্ছা। ’
এরপর আর কথা হয় না। আমি স্বাভাবিক থাকি। আমাকে দেখে কিছু বোঝা যায় না। বাবার বিষয়টা নিয়ে কথা বলার সময় এখন না। সব ভেঙে যাবে। সবকিছু ভেঙেচুরে শেষ হয়ে যাবে। সে ঝুঁকি আমি নিতে পারবো না। সে চাপ সহ্য করবার ক্ষমতা আমার নেই।
তবে বাবা কথা দিয়ে কথা রাখলো না। আমার মনে পড়ে। সব মনে পড়ে যায়। তখন ভুতের ভয় ছিলো। স্কুলে পড়ি। শেষ রাতে ঘরের ভেতর অন্ধকারে কালো একটা মানুষের অবয়ব দেখে ভয় পাই। চিৎকার করে কেঁদে উঠি। বাবা ছুটে আসে পাশের ঘর থেকে। লাইট জ্বালাতেই দেখা যায় মানুষ টানুষ কিছু না। একটা চেয়ারের ওপর তোয়ালেটা এমনভাবে রাখা ছিলো যে অন্ধকারে মানুষের শরীর বলে ভুল হয়েছে। ভয় যায়নি আমার। একা ঘুমাবো না বলে কাঁদছিলাম। বাবা সেদিন আমার সঙ্গে ঘুমায়। বাবাকে জড়িয়ে ধরে ফোঁপাতে থাকি। বাবা বলে, ‘আমি আছি না? আমি থাকতে ভয় পাবি না কোনোদিন। সব ঠিক করে ফেলবো। তুই, তোর মা সবাই ভালো থাকবি। তোদের দেখার দায়িত্ব আমার। কোনো ভয় নাই। এবার ঘুমা। ’
কথা রাখেনি বাবা। আমাদের দেখার দায়িত্ব থেকে সে দূরে সরে গেলো। ভাবলো শুধু নিজের কথা। কথা দিয়ে কথা না রাখার মতন কঠিন অপরাধ করলো। আমার এসব অভিমান হয় এ মুহূর্তে। কী হাস্যকর! কতো কতোদিন আগের ছেলের ভয় ভাঙানোর জন্য এমনি বলা কিছু কথা এই সময়ে মনে পড়লো। পরিস্থিতি বুঝে মাথার ভেতর কথার পোকারা আসে।
মা সুস্থ হলে কীভাবে বলবো আমি বাবার কথাটা।
মা আমার বাঁচবে না। তখন বেঁচে গেলেও বাঁচবে না।
যন্ত্রণা। কী অসহ্য যন্ত্রণা চারপাশে।
সবকিছু ধ্বংস হয় না কেন?
ধ্বংস হোক। তবেই মঙ্গল।
চলবে...
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৬
এএসএনএস
আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন-
**মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব- ১)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব- ২)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব- ৩)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব- ৪)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব- ৫)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব- ৬)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব- ৭)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-৮)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-৯)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-১০)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-১১)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-১২)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-১৩)