আমরা যখনই ভালো খাবার খাই তখনই আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। মানুষের বেলায় ভালো খাবার গ্রহণের সঙ্গে মন ভালো হবার, মুড ভালো হবার একটি অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক আছেই।
তারা দেখতে পান, কোনো মৌমাছি বা ভোমরা যখনই এক ফোঁটা মিষ্ট জল খেতে পায়, তখনই ওদের মেজাজে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তাদের মুড ভালো হয়ে যায়। গবেষকদের গবেষণার ফলটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল সায়েন্সে (journalScience)।
গবেষণায় বলা হয়েছে, কীটপতঙ্গেরা এমন সব মানসিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যায় যাতে ওদের অবেগের রকমফের টের পাওয়া যায়।
তুলনামূলকভাবে সাধারণ স্নায়বিক অবস্থার মধ্যে ওদের ইতিবাচক আবেগ কেমন থাকে তা নিয়ে গবেষণার নতুন পথ খুলে দিতে পারে সাম্প্রতিক এই গবেষণা।
গবেষক দলপ্রধান ড. ক্লিন্ট জে পেরির ভাষায়, "আবেগগত অবস্থার মৌলিক দিকগুলোকে বুঝতে পারা ও এ নিয়ে গবেষণা করলে তা মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ সম্বন্ধে জানতে আমাদের জন্য সহায়ক হবে। এখানটাতেই নিহিত আছে সকল প্রাণীর অবেগের উৎস। ’’
গবেষকদল বিশেষ কায়দায় নীল রঙের ফুল থেকে খাদ্যগ্রহণ করতে এবং সবুজ ফুল থেকে না করতে মৌমাছিকে প্রশিক্ষিত করে তোলেন। এরপর তারা নতুন একটি নীল-সবুজ ফুল থেকে খাদ্যগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেন।
নির্ধারিত ফুল থেকে মধু সংগ্রহের আগে মৌমাছিগুলোকে এ ফোঁটা করে মিষ্টজল খেতে দেওয়া হয়। দেখা যায়, যেসব মৌমাছি মিষ্টজল খেয়েছে নির্দিষ্ট ফুলের ওপর বসতে এরা সবচে কম সময় নিয়েছে। অর্থাত সুমিষ্ট জল ওদের মেজাজ ফুরফুরে করে দিয়েছে। মানে সুমিষ্ট জল মৌমাছিদের মনমেজাজে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দেয়। এটা মানুষ এবং অন্যসব প্রাণীর বেলায়ও ঘটে থাকে।
গবেষকদলের সদস্য সিনিয়র প্রফেসর লার্স চিটকা বলেন,‘‘ আমরা মৌমাছিদের মধ্যে যে আচরণ দেখতে পেলাম তা মৌমাছিদের কেবল বিস্ময়কর বুদ্ধিমত্তার পরিচায়কই শুধু নয়, বরং তাদের আবেগ-সুলভ অনভূতিরও পরিচায়ক। পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে এদের নামানোর আগে আমাদের উচিত হবে ওদের চাহিদার প্রতি সম্মান দেখানো; এদের সংরক্ষণের জন্য আরো বেশি মনোযোগ দেওয়া। ’’
(আন্তর্জাতিক সংবাদসূত্র অবলম্বনে)
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৬
জেএম/