জাপানের হিটাসি সিসাইড পার্ক। একে বলা হয় এমন একটি জায়গা যেটা মৃত্যুর আগে একবার দেখতে চাইবেন যে কেউ! স্বর্গের সঙ্গে তুলনীয় এ জায়গাটি শুধুই ফুলের।
বছরের পুরো সময়টা ধরে ঋতুভেদে বিভিন্ন ফুলের সমারোহ থাকে এ বাগানে। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয় বাগানের রং, যা আলাদা বৈচিত্র্য আনে বাগানে। কোনো কোনো জায়গায় গ্রীষ্মে ফুলগুলো হয়ে যায় সবুজ কটন-বল অথবা শরতে কালচে অগ্নিবর্ণ কটন ক্যান্ডি!
অনিন্দ্য সুন্দর এ পার্কটি ৪৭০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে রয়েছে ১৭০ প্রজাতির টিউলিপ, লাখো ড্যাফোডিল, সাড়ে চার লক্ষাধিক নেমোফিলা অথবা বেবি ব্লু আইস, গোলাপ, জিনিয়া, কসমসসহ অনেক ফুল।
যখন বাগানে বেবি ব্লু আইস ফোটে তখন বাগান পরিণত হয় যেন নীল সমুদ্রে। পার্কের অন্যতম আকর্ষণ এই ফুল। অনেক পর্যটক ও ফটোগ্রাফার বসন্তের এ সময়টির জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকে। এই ফুল যখন ফোটে তখন একটি উৎসব হয়। নাম নেমোফিলা হারমনি।
কিন্তু এই নেমোফিলাই পার্কের একমাত্র আকর্ষণ নয়, বসন্তে আরও দেখা মেলে টিউলিপ, ড্যাফোডিল প্রভৃতি বাহারি ফুলের। আর শরতে উঁকি দেয় পপি, লিনারিয়া, সূর্যমুখী, জিনিয়া, গোলাপ ও কসমস। বার্ড আই ভিউতে দেখলে এসময় বাগানটি সত্যি মোহনীয়।
পৃথিবীর সুন্দরতম বাগানগুলোর একটি হিটাসি সিসাইড পার্ক। চাইলে বাইসাইকেলে চেপে পুরো পার্ক ঘুরে দেখতে পারবেন আপনি। এছাড়া ছোট্ট ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে।
সুতরাং, জাপান ভ্রমণে কিন্তু এ পার্কটি ঘুরে আসতে ভুলবেন না!
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৬
এএ/