ঢাকা: একালে ড্রোন নামের উড়ন্ত বস্তুটি রীতিমতো আতঙ্কের নাম। কেননা তৃতীয় বিশ্ব বিশেষ করে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও সোমালিয়ার মতো এশিয়া-আফ্রিকার দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর ড্রোন হামলায় পাখির মতো মরছে হাজার হাজার নিরীহ নারী-পুরুষ-শিশু।
আর পশ্চিমা দুনিয়ার আকাশে ব্যক্তিগত ড্রোন উড়িয়ে অনেকে অন্যের প্রাইভেসি নষ্ট করেন বা বিরক্তির কারণ হয়ে থাকেন। তবে ড্রোন যে শুধু অশুভেরই প্রতীক, তা কিন্তু নয় সব সময়।
ড্রোনকে এখন অনেক ইতিবাচক কাজে, ঝুঁকিপূর্ণ উদ্ধারকাজে সহায়ক হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। মেনে নেওয়া যাক, যে পশ্চিমা বিশ্বে ড্রোন সবসময় আতঙ্কের কারণ নয়। তাই বলে ড্রোনের সঙ্গে দই নামের খাবারটির সম্পর্ক কি?
খুলেই বলি। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হোপ কলেজে (Hope College) এবার
একটি খাদ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানি (Orange Leaf) তাদের তৈরি হিমায়িত দই ডেলিভারির কাজে ড্রোন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ড্রোনের মাধ্যমে দই ডেলিভারির কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ উপলক্ষে তারা বিশাল এক পার্টিও দিয়েছিল সেদিন।
প্রতিবারে একটি ড্রোন ৩০ পাউন্ড হিমায়িত দই ডেলিভারি দিচ্ছে। চারটি রোটরে চলা এই ড্রোনটির গতি ঘণ্টায় মাত্র ৩০ মাইল। ক্যাম্পাসে দই নিয়ে পৌঁছতে ড্রোনটির লাগে ১৫ মিনিট। ব্যাপারটা বেশ সাশ্রয়ী ও ঝামেলাহীন।
‘ড্রোন দিয়ে দই সরবরাহ শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়িক দিক থেকে লাভজনক প্রমাণিত হলে পরে আরো বড় আকারে দই সরবরাহে ড্রোনের ভূমিকা সম্প্রসারণ করা হবে। মানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য জায়গায়ও এই কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়া হবে’ এমনটাই জানিয়েছেন অরেঞ্জ লিফ কোম্পানির সিনিয়র ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশন্স এমিলি পোর্ট। .
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৬
এমএ/জেএম