ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

ময়লা-আবর্জনাও খায় পান্ডা!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৬
ময়লা-আবর্জনাও খায় পান্ডা!

ঢাকা: চীনের একটি চিড়িয়াখানায় পান্ডার ময়লা-আবর্জনা খাওয়া নিয়ে সরব পরিবেশবাদী ও দেশটির সচেতন মহল। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ও বিরল প্রাণী পান্ডার খাদ্যাভ্যাসের এ অদ্ভুত পরিবর্তনের জন্য তারা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন।

কারণ, পান্ডার প্রধান খাদ্য বাঁশ।

বিষয়টি নজরে আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি ওই চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করা এক পর্যটকের তোলা ছবিতে ধরা পড়ে বিষয়টি। এতে দেখা যায়, একটি বড় আকারের পান্ডা চিড়িয়াখানায় পর্যটকদের ফেলে আসা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা খুটে খাচ্ছে। এটা পান্ডার স্বভাববিরুদ্ধ।

চীনের শাঞ্জি প্রদেশের তাইউয়ান চিড়িয়াখানার খবর এটি। পান্ডাটি চিড়িয়াখানার ভেতরে ফেলা পানির বোতল, ক্যান, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেট, বেলুন নাক দিয়ে সরিয়ে সরিয়ে খাবার খুঁজছিলো।

ছবিটি চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ফুঁসে ওঠেন সচেতন মহল। একজন লিখেছেন, ‘তাইউয়ান চিড়িয়াখানার কোনো অধিকার নেই এই জায়ান্ট পান্ডাকে রাখার। আমি জানি না, এটা কীভাবে সম্ভব যে, পর্যটকদের ফেলা ময়লা-আবর্জনা খুটে খাবে পান্ডা!’

পরিবেশবাদীরা একই সঙ্গে পর্যটক ও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে কথা বলেছেন। সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে চিড়িয়াখানার সক্ষমতা নিয়ে। আদৌ কি পান্ডা রাখার ব্যবস্থাপনা বা যোগ্যতা তাদের আছে!

এ ঘটনার পর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই দিন সরকারি ছুটির কারণে পর্যটকদের চাপ বেশি থাকায় সব দিকে খেয়াল রাখা সম্ভব হয়নি।

এ ধরনের ঘটনার কারণে আগে আরও একটি পান্ডাকে চিড়িয়াখানার ভেতরের দিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর এ ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

৯৯ শতাংশ পান্ডার মূল খাদ্য বাঁশ। একটি পূর্ণ বয়স্ক পান্ডার খাবার হিসেবে দিনে ২০ থেকে ৩০ পাউন্ড বাঁশের প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৬
এএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।