খাদ্য নিয়ে মানুষের প্রচলিত ধারণা ও খাদ্যাভ্যাস দিনকে দিন বদলে যাচ্ছে। গ্লোবালাইজেশন ও প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বব্যাপী মানুষে-মানুষে যোগাযোগ যতো বাড়ছে, ততোই নতুন নতুন খাদ্যও যোগ হচ্ছে মানুষের খাবারের মেন্যুতে।
আগামী দিনগুলোতে মানুষের খাদ্যতালিকায় যোগ হবে নানা অভিনব উপাদান। কিন্তু যদি বলা হয়, আজকের দিনে প্রোটিনের বড় উৎস মাছ ও মাংসের স্থান দখল করে নেবে পোকামাকড়, তাহলে? হ্যাঁ, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সেটাই হবে একদিন। ঝিঁঝিঁ পোকা, গুবরেপোকা, ঘাসফড়িংসহ নানা জাতের ফড়িং ও কেঁচো ইত্যাদি নানান কীটপতঙ্গ মাছ-মাংসের বিকল্প হিসেবে খাবারের মেন্যুতে স্থান করে নেবে। কেননা মাছ-মাংসের চেয়ে এগুলোতে প্রোটিনের পরিমাণ ঢের বেশি। তাছাড়া এগুলো মুখরোচকও বটে।
www.sciencedaily.com--এর এক প্রতিবেদনে শিরোনাম আকারে একটি প্রশ্ন রাখা হয়েছে: ‘The buzz about edible bugs: Can they replace beef?’
অ্যামেরিকান কেমিস্ট্রি সোসাইটির (ACS) পক্ষ থেকে Journal of Agricultural and Food Chemistry-তে প্রকাশিত একটি গবেষণা-নিবন্ধের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। ওই নিবন্ধে বলা হয়, আজকাল মানুষের খাদ্যরুচি ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। মানুষ ক্রমশ নতুন ও অভিনব খাদ্যের দিকে ঝুঁকছে। সেখানে দাবি করা হয়, আদিবাসী ও পাহাড়িসহ পৃথিবীর প্রায় ২শ কোটি মানুষের কাছে ঐতিহ্যগতভাবেই কীটপতঙ্গ মুখরোচক ও মজাদার খাদ্য হিসেবে বিবেচিত।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিসংস্থা (ফাও)-র একটি রিপোর্টেও এর সমর্থন মিলেছে সম্প্রতি। পৃথিবীর ২শ কোটি মানুষ অন্তত এক হাজার ৯শ প্রজাতির কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে। যে হারে মানুষ বিকল্প খাদ্যরুচির দিকে ঝুঁকছে তাতে কীটপতঙ্গ যদি একদিন গোটা বিশ্ববাসীর খাবারের মেন্যুতে মাছ-মাংসের স্থান যদি দখল করে নেয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৬
জেএম/এসএনএস