ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

দানশীলতায় সেরা পাঁচ দেশ

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৬
দানশীলতায় সেরা পাঁচ দেশ

মানবসেবায় তাদের সময় ব্যয় ও অর্থ দান করে সুখ্যাতি পেয়েছেন পাঁচটি দেশের বাসিন্দারা। গবেষণা কোম্পানি গ্লোবাল সিভিক এনগেজমেন্ট (গ্যালাপ) ১৪০টি দেশের ১ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের মাঝে জরিপ পরিচালনা করে দানশীলতায় সেরা দেশগুলোর একটি তালিকা করেছে।

মানবসেবায় তাদের সময় ব্যয় ও অর্থ দান করে সুখ্যাতি পেয়েছেন পাঁচটি দেশের বাসিন্দারা। গবেষণা কোম্পানি গ্লোবাল সিভিক এনগেজমেন্ট (গ্যালাপ) ১৪০টি দেশের ১ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের মাঝে জরিপ পরিচালনা করে দানশীলতায় সেরা দেশগুলোর একটি তালিকা করেছে।

 

ওই তালিকায় সেরা পাঁচটি অবস্থানে থাকা ওই পাঁচটি  দেশ হচ্ছে যথাক্রমে মায়ানমার, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া,
নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলংকা।
জরিপে মানবকল্যাণে সহায়তা করতে কোন বিষয়টি তাদেরকে অনুপ্রাণিত করে বা কিভাবে এটা সেখানকার সমাজকে প্রভাবিত করে তা খুঁজে বের করারও চেষ্টা করেছেন গ্যালাপ কর্মীরা।

তারা বলছেন, একজন অপরিচিতকে সাহায্য করলে সৎকর্ম বেশি হতে পারে- এ বিশ্বাস থেকেই অন্যদের সাহায্য করার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে ওই পাঁচ দেশে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট্ট দেশ মায়ানমারের অধিবাসীরা একটি শক্তিশালী বৌদ্ধ উদারতার ঐতিহ্য অনুসরণ করে দানশীলতায় বিশ্বসেরা হয়েছেন। সন্ন্যাসীদের খাদ্য দান বৌদ্ধ ঐতিহ্যের একটি সাধারণ অভ্যাস। এছাড়াও সেখানে এতিমখানায় দানের সংগঠিত প্রচেষ্টা রয়েছে ব্যাপক হারে। বিদেশিদের সঙ্গে তাদের ইতিবাচক সৌজন্যতার সূচকও সবচেয়ে বেশি ৯৬ শতাংশ।

গ্যালাপের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দানশীলতা একটি সম্মুখগামী মডেল, যা নাগরিক চেতনার সঙ্গে আরো সঙ্গতিপূর্ণ। মার্কিন সংস্কৃতিতে দান অসাধারণ উদারতার অংশ। বিশ্বপ্রেম ও আত্মার শান্তির লক্ষ্যে অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবা এবং দাতব্য কাজে জড়িত হন মার্কিনিরা। অন্যদের জন্য সমবেদনা থেকে একে অপরের যত্ন নেওয়া ও মহত্ত্ব তাদের চরিত্রের অপরিহার্য দিক। অন্যথায় সভ্যতার পতন হয় বলেও বিশ্বাসী তারা।
দানশীলতা অস্ট্রেলিয়ার সংস্কৃতিরও একটি প্রধান অংশ, যা দেশটিকে তালিকার তিন নম্বর সেরা অবস্থানে নিয়ে গেছে। অন্যদেরকে সহায়তা করা ছোট জনসংখ্যার দ্বীপ দেশটির জাতীয় প্রচেষ্টারই অংশ, যার সফলতা নিজেদের জন্য মহান সম্মান বয়ে আনে বলে বিশ্বাস করেন বাসিন্দারা। অস্ট্রেলিয়ার সামাজিক আস্থা ও নিরাপত্তা বেষ্টনী উদার, ভালো স্বাস্থ্যসেবা আইন দিয়ে সুরক্ষিত এবং বিনয়ী নাগরিকরা বিদেশিদের প্রতি স্নেহশীল।

ছোট্ট দ্বীপ জাতি নিউজিল্যাণ্ডের বাসিন্দাদের বেশিরভাগই ঐতিহাসিকভাবে গ্রামীণ এবং তাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য আছে। কর্তব্যবোধ এবং একে অপরকে জানার শক্তিশালী অনুভূতি দেশটির দাতব্য বৈশিষ্ট্যের মূল কারণ। দেশটির অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও মানুষের মাঝে সহজ-সরলতা, আন্তরিকতা এবং অন্যকে সাহায্যের মহত্ত্ব গড়ে দিয়েছে। এছাড়াও দান জাতির আত্মাকে পুনরুজ্জীবিত করে বলে মনে করেন তারা। এসবই চতুর্থ সেরা দানশীল দেশ হিসেবে গ্যালাপের তালিকায় স্থান করে নিতে সহায়তা করেছে নিউজিল্যান্ডকে।

মায়ানমারের মতোই শ্রীলংকার দানশীলতা জোরালোভাবে ধর্মীয় ভাবধারা প্রভাবিত। বেশিরভাগ শ্রীলংকান বৌদ্ধ ও হিন্দু উভয় ধর্মের দানশীলতা ও ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতাধারী। তারা নিজেদের মাঝের গভীর একাত্মতার অনুভূতি থেকে দাতব্য স্কুল পরিচালনা, সামাজিকভাবে স্বেচ্ছায় রক্ত দান, মাসিক বিশেষ পয়মন্ত দিন উদ্‌যাপনে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণসহ দয়াশীলতার নানা কার্যক্রমে যুক্ত। রাষ্ট্রীয় ছুটির দিনে সরকারি রাস্তা পরিপাটি করা, হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবা ও গৃহহীনদের জন্য ভবন তৈরিতে শ্রম দেওয়াও তাদের মাঝে  জনপ্রিয়। ফলে শ্রীলঙ্কা খুব সহজেই পেয়ে গেছে তালিকার পঞ্চম স্থানটি।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।