‘বাক বাকুম বাকুম পায়রা’ বা ‘শান্তির দূত পায়রা’ বলে যতো কথার ফুলঝুরিই ফোটানো হোক, বাস্তবে কবুতর কিন্তু বড় এক আপদের নাম। এরা সারাক্ষণ খায় আর যত্রতত্র বিষ্ঠা ত্যাগ করে চারপাশকে মলে-দুর্গন্ধে ভরিয়ে তোলে।
ইতালি ও স্পেনের নানা ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানগুলো ছেয়ে থাকে অসংখ্য কবুতরে। কিন্তু এরা লাগামহীনভাবে বংশবৃদ্ধি করে যায় আর বিষ্ঠায় ভরিয়ে তোলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা- ‘... birds which are threatening to take over the historic centre, pooing on monuments, listed buildings and tourists’
এজন্য মাঝে-মধ্যেই কর্তৃপক্ষকে কবুতর নিধনের (কালিং) মতো নির্মম সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। কিন্তু এতে বাধ সাধে প্রাণী অধিকারবাদী গ্রুপগুলো।
তাহলে করণীয় কি? হ্যাঁ, এবার স্পেনের বার্সিলোনা নগর কর্তৃপক্ষ এমন এক মোক্ষম উপায় খুঁজে বের করেছেন, যাতে ‘শ্যাম-কূল’ দু’টিই রক্ষা পায়। উপায়টা হচ্ছে, নিধনের মতো নিষ্ঠুর কাজ না করে কবুতরের বংশবৃদ্ধি ঠেকানো। মানে কবুতরের জন্মনিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হাতে নেওয়া (contraceptive methods)।
আর সেটি করতে পারলে আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে কবুতরের সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমিয়ে আনা যাবে।
পরামর্শটি দিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ। কর্তৃপক্ষের এই ‘প্রাণবিক’ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সেদেশের ১৫০টিরও বেশি প্রাণী-অধিকারবাদী সংগঠন। কেননা, এতে করে বেঁচে যাবে ৮৫ হাজারের বেশি কবুতর।
www.express.co.uk তাই তাদের এ সংক্রান্ত সংবাদের শিরোনাম দিয়েছে, ‘Barcelona plans to stop randy birds trashing city – by putting pigeons on CONTRACEPTION’
প্রথমে কবুতর গণনার কাজ সম্পন্ন করা হবে। এরপর ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসজুড়ে চলবে কবুতরের জন্ম নিয়ন্ত্রণ।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
জেএম/এএসআর