জুডো, কারাতে, জুজুৎসু- এসব মার্শাল আর্টকে বলা হয় আত্মরক্ষার খেলা। কারো দ্বারা আক্রান্ত হলে মার্শাল আর্ট দিয়ে নিজেকে সহজেই রক্ষা করা যায়।
এবার কারাতের কৌশল প্রয়োগ করে এক বুনো কালো ভালুকের কবলে পড়েও দিব্যি প্রাণ নিয়ে ফিরলেন এক জাপানি কারাতে মাস্টার। বয়স ৬৩ বছর হলে কি হবে, এই জাপানির কারাতের মারের ধকল সইতে পারেনি ভালুকটি।
জাপানি ওই কারাতে মাস্টারের নাম আতসুশি আওকি। ভালুকের সঙ্গে জানবাজি লড়াই চালাতে গিয়ে ভালুকের নখের আঁচে তিনি কিছুটা আহত হলেও ততোটা গুরুতর আঘাত হানার সুযোগ পায়নি ভালুকটি।
ভালুকের কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করার পর চিকিৎসা নিতে নিজেই গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে যেতেও অসুবিধা হয়নি আতসুশির।
স্কাইনিউজ এ ঘটনার ওপর করা তাদের সংবাদের শিরোনাম করেছে, ‘Japanese karate expert, 63, fights off bear using black belt skills’
জাপানি পুলিশের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে কিছুদিন আগে এক মঙ্গলবার। আতসুশি তখন গুনমা প্রি-ফেকচার অঞ্চলের একটি পাহাড়ি লেকে বড়শি ফেলে মাছ ধরছিলেন। এ সময় হঠাৎই বিশাল বপুর একটি কালো ভালুক তার ওপর চড়াও হয়।
আতসুশি জাপানি সম্প্রচার মাধ্যম টিবিএসকে (TBS) জানান, ছয় ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতার (পেছনের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায়) ভালুকটি সবেগে দৌড়ে এসে তাকে অতর্কিতে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার ওপর উঠে দাঁড়ায়। তখন তিনি ভালুকের সঙ্গে খালি হাতেই লড়াই চালাতে থাকেন। নিজের কারাতেবিদ্যা প্রয়োগ করে মাটি থেকে উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হন তিনি।
তার ভাষ্য, পালিয়ে না গিয়ে ভালুকের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালাতে থাকেন তিনি। নিজের শেখা মারাত্মক সব কারাতে টেকনিক তিনি প্রয়োগ করতে থাকেন ভালুকের নাকে-মুখে এবং দু’চোখের মাঝখানে। দীর্ঘক্ষণ ভালুকে-মানুষে মরণপণ লড়াইয়ের এক পর্যায়ে তিনি ভালুকের চোখের ভেতরে আঙুল ঠেসে দেন। তখন অবস্থা বেগতিক দেখে রণেভঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যায় ভালুক।
ভালুকটির সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে তার শরীরের ওপরের দিকে ডানপাশে এবং হাতে-পায়ে সামান্য জখম হয়েছে। তবে আঘাত যে গুরুতর হয়নি, এটাই বড় ভাগ্যি।
এ ঘটনার পর পুলিশ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে এক নোটিশ জারি করেছে। কেউ যেন আতসুশির মতো বুনো ভালুকের সঙ্গে লড়তে না যান- ‘If you witness a bear, don't fight. Walk away quietly and report it to the police instead’
সবাই তো আর আতসুশির মতো ডাকাবুকো ক্যারাতে এক্সপার্ট নন!
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
জেএম/এএসআর