তবে এটাও সত্যি আমরা যা ভাবি, তা সব সময় বাস্তব হয় না। যেমন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ও চা, তিনি মনে প্রাণে ট্রাম্পকেই অনুসরণ করতে চাইছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের মতোই অনুসরণকারী বাড়াতে নতুন নতুন সব কৌশল অবলম্বন করছেন তিনি। সেনা সমর্থিত সরকারের এই প্রধানমন্ত্রী নিজেকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে আবার গণমাধ্যমে সংবাদের শিরোনাম হতেও নতুন নতুন উদ্ভট ধরনের কাজ করছে।
কার্ডবোর্ডে প্রধানমন্ত্রীর কাটআউট তৈরি করে শহরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করেছে থাই সরকার। থাইল্যান্ডে ভীষণ জনপ্রিয় কোরিয়ান সিনেমা। সাবেক এই সেনাবাহিনী প্রধান নিজেকে জনপ্রিয় করে তুলতে সিনেমাটিক পন্থা বেছে নিলেন। হাতের দুই আঙ্গুলের মাধ্যমে মিনি হার্ট দেখিয়ে যেভাবে কোরিয়ান তরুণ-তরুণীরা ভালোবাসাকে চিহ্নিত করেন। প্রায়ুথের এই ঢংয়ের একটি কাটআউট তৈরি করে ব্যাংককের বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়েছে। মানুষও বেশ মজা পেয়েছে। কিশোরী আর তরুণীরা সেই ছবির সঙ্গে সেলফি তুলছেন। তবে হাস্যরসের পাত্র হিসেবেই প্রধানমন্ত্রী পরিচিতি পেয়েছেন।
এছাড়াও ফুটবলকে জনপ্রিয় করতে শহরের বিভিন্ন পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে নিজের বলে কিক মারার কাটআউট স্থাপন করেছেন প্রায়ুথ সরকার। যেখানে তিনি ট্রাউজার পড়ে মাঠে খেলা করছেন। বা মুয়া থাইয়ের ভঙ্গিমায় রয়েছেন।
আবার হ্যান্ডশ্যাকের মুডেও রয়েছে কাটআউট। আর কাটআউটের ছবির সঙ্গে যেয়ে হাত মেলাচ্ছেন মানুষ। ছবি তুলছেন আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করছেন হাস্যরস।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ুথের কার্ডবোর্ড আবারো ট্রল হয়ে ওঠে। যখন তিনি হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন এমন একটি কাটআউট তৈরি করে নিজ কার্যালয়ের সামনে বসান। তবে গেলো ৮ জুন তিনি যেটা করলেন, সেটা আগের সব পাগলামোকে ছাড়িয়ে গেছে। জাতীয় শিশু দিবসে একটি স্কুলে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করতে চাইলে, তিনি তার ব্যক্তিদের একটি কাটআউট সামনে নিয়ে আসতে বলেন। এরপর কাটআউটটি দেখিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছবি তুলতে চাইলে বা প্রশ্ন করার জন্য উনাকে ব্যবহার করুন। ’ বলে হাঁটা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর উপস্থিত সাংবাদিকরা হতভম্ব। তারা মজায় পরিণত করলেন বিষয়টিকে। ছবি তুললেন কাটআউটের ইন্টারভিউ নেয়া হচ্ছে এই ভঙ্গিতে।
তবে গত বছর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে দোষী সাব্যস্ত করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির একদিন পর আমেরিকা যান প্রায়ুথ। হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আসার পর ভয়েস অব আমেরিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকার পড়লে তার এই উদ্ভট কাজের একটা যুক্তিও পাওয়া যায়। তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে আমার অনেক মিল রয়েছে।
প্রায়ুথ বলেন, ‘শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা দেখছেন তাতেই আপনি কাউকে বিচার করতে পারবেন না। আমার মনে হয় না সবাই যেমন ভাবেন, তিনি তেমন কোনো নেতা। আমিও মিডিয়া নিয়ে একই ধরনের সমস্যায় পড়ি। ’
প্রায়ুত আরো বলেন, ‘আমি এবং ট্রাম্প পরিবর্তনের নেতা। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
এমএন/আরবি/