লুয়াং ফোর পুয়ান। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরের একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ছিলেন।
কম্বোডিয়া থেকে আসা লুয়াং তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন থাইল্যান্ডের লোপবুরি মঠে। আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে তিনি ব্যাপকভাবে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
ধর্মীয় রীতি মেনেই দু’মাস পর লুয়াংয়ের কফিন খোলা হয় চলতি সপ্তাহে।
তার অনুসারীরা কফিন খুলে মরদেহ বাইরে বের করে আনলে লুয়াংয়ের মুখ দেখে বিস্মিত হন। তারা দেখেন আশ্চর্যজনকভাবে লুয়াং হাসছেন। অনুসারীরা সেই অবিশ্বাস্য মুখের ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, মরদেহকে ধর্মীয় আচারের জন্য ভক্তদের সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মুখে এই সৌজন্যমূলক হাসি ফুটে ওঠে।
খবরে বলা হয়, ওই মৃত সন্ন্যাসীর দেহ দেখে কোনোভাবেই মনে হচ্ছিল না দু’মাস আগের। বরং মনে হচ্ছিল বড়জোর ৩৬ ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
ভক্তরা মনে করেন, তার এই হাসি প্রমাণ করে তিনি সাধনা ও ধ্যানের মাধ্যমে উচ্চস্থানে পৌঁছে গেছেন।
লুয়াংয়ের অনুসারীরা তার মৃত্যুর ১০০তম দিন পর্যন্ত তার জন্য প্রার্থনা চালিয়ে যাবেন। এরপর তাকে আবারও সমাধিস্থ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এমএসএ/এএ