বিশাল লেজের লোমশ প্রাণীটি নির্বিঘ্নেই পানি খাচ্ছিলো। এমন সময় লুকের চোখ যায় অ্যান্টইটারটির পেছনে।
দুর্দান্ত এক শিকারের দৃশ্য হতে যাচ্ছে, এমনটাই ভাবছিলেন লুক। কিন্তু অ্যান্টইটারটির একদম কাছে আসার পর হঠাৎ বিভ্রান্ত দেখায় জাগুয়ারকে। বুঝতে পারে না অদ্ভুত প্রাণীটা ঠিক কতোটা বিপজ্জনক। অ্যান্টইটারের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য ওতপেতে অপেক্ষা করে।
যথারীতি পানি খাওয়া শেষ হলে ঘুরে দাঁড়ায় অ্যান্টইটার। লুক ভাবলেন এখনই বোধহয় শুরু হবে লড়াই। কিন্তু কিসের কী, জাগুয়ারটাকে দেখে যেন পাত্তাই দিলো না অ্যান্টইটার। নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে হেঁটে হেঁটে আবার জঙ্গলের দিকে রওয়ানা দেয় সে।
আর অবাক জাগুয়ারটি তখনও বুঝে উঠতে পারে না ঘটনা। কোনোভাবেই অ্যান্টোইটারকে আক্রমণ করার সাহস করে উঠতে পারে না সে।
লুক ম্যাসি বলেন, আমি ভেবেছিলাম কোনো নির্মম হত্যার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করতে চলেছি। কিন্তু জাগুয়ারটি যে এমন অসহায় ভঙ্গিতে অ্যান্টইটারের পানি খাওয়ার দৃশ্য বসে বসে দেখবে তা আমি মোটেও আশা করিনি।
তবে এ ঘটনাটি স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন ‘প্যান্থেরা’ নামে একটি প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার গবেষক রদ্রিগো তরতাতো। কারণ এ অঞ্চলের অ্যান্টইটাররা শিকার হিসেবে খুবই অনুপযোগী।
আরেক গবেষক চার্লস মুন বলেন, অ্যান্টইটারের ধারালো থাবার করণেই জাগুয়ারটা ভয় পাচ্ছিলো।
২০১৬ সালে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধারণ করা একটি ভিডিওতে অ্যান্টইটারের আক্রমণে একটি জাগুয়ারকে নাজেহাল হতে দেখা যায়। ২০০৭ সালে আর্জেন্টিনার এক চিড়িয়াখানার কর্মচারী অ্যান্টইটারের আক্রমণে মৃত্যুবরণ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যান্টইটাররা ডায়নোসরের আমল থেকে পৃথিবীতে বাস করছে। অভিযোজনের দিক থেকে এরা খুবই শক্তিশালী।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এনএইচটি/এএ