ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

ভারতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বাইক অ্যাম্বুলেন্স

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
ভারতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বাইক অ্যাম্বুলেন্স জনপ্রিয়তার শীর্ষে বাইক অ্যাম্বুলেন্স

ঢাকা: যেনো মৃত্যু তরী ধেয়ে আসছে ধরতে, আর আস্বুলেন্সে করে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। কিন্তু সবাই কি এ তরীর কবল থেকে বাঁচতে পারে?

বর্তমান প্রেক্ষাপটে যানজট, বন্যা, ভাঙা রাস্তাসহ না সমস্যার কারণে এর উত্তর ‘না’ হওয়াটাই স্বাভাবিক। রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় এসব সমস্যা।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আটকে থেকে শেষপর্যন্ত এখানেই সমাপ্ত হয় একটি জীবনের।

এসব সমস্যার সমাধান সহজ ও দ্রুত করা সম্ভব নয়। তাই রোগী বাঁচাতে সমস্যাগুলোকে ডিঙিয়ে গিয়েই ব্যতিক্রমী একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ভারতে।

সাধারণত চার চাকার গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স সহজে সব রাস্তায় যেতে পারে না। তার ওপর আবার যানজট বা ভাঙাচোরা ও ছোট রাস্তাঘাটের বাধাতো আছেই। সেক্ষেত্রে দুই চাকার গাড়ি বা মোটরবাইকই হতে পারে দ্রুত হাসপাতালে রোগী পৌঁছানোর সহজ উপায়। এ চিন্তা থেকে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে চলছে মোটরসাইকেল অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রজেক্ট।

১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছিল এ প্রজেক্ট। এখন মহারাষ্ট্র শহরে ও এর বিভিন্ন জেলায় ৩০টি মোটরসাইকেল অ্যাম্বুলেন্স চলছে রাস্তার নানা সমস্যা এড়িয়ে সফলভাবে। সেইসঙ্গে মাত্র এক বছরে তুমুল জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে এ বাইক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস।

মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট একটি ঝামেলামুক্ত সমাধানের জন্য গত বছরের আগস্টে বাইক অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছিল। এরপর যানজট, বন্যা, বৃষ্টিপাত, ছোট ছোট রাস্তা (যেখানে চার চাকার গাড়ি চলে না) ও ভাঙাচোরা রাস্তার প্রতিকূলতা অতিক্রম করে কম সময়ে হাসপাতালে রোগী পৌঁছে দিয়ে বেশ সফলতা পায় বাইক অ্যাম্বুলেন্স। সঙ্গে চার চাকার তুলনায় খরচও অনেক কম হওয়ায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে গেছে এ সার্ভিস! তাই এখন এ ডিপার্টমেন্ট শহরে চালু করতে যাচ্ছে নতুন আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। যা বাইসাকেলের পেছনে রোগী বসার সুব্যবস্থা করে। জনপ্রিয়তার শীর্ষে বাইক অ্যাম্বুলেন্সবিভিজি ইন্ডিয়া লিমিটেডের মেডিকেল সার্ভিসের চিফ অপারেশন অফিসার ড. দয়ানইসওয়ার শেলকে বলেন, বিশেষত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এবং অধিক যানজটের রাস্তায় দ্রুত সময়ে রোগী পৌঁছে দিতে এ বাইক অ্যাম্বুলেন্স প্রজেক্ট চালু করা হয়েছিল। প্রথমত ১০টি বাইক নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। পরে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় দ্রুত আরও ২০টি বাইক রাস্তায় নামানো হয়।

তিনি আরও বলেন, মহারাষ্ট্রের পান্দরপুর, পালগর, গাদচিরোলি ও অমরাবতী এলাকা থেকে রাজধানী মুম্বাই পৌঁছাতে বাইক অ্যাম্বুলেন্স বেশ জনপ্রিয়।

যখন ১০৮ হেল্পলাইন নম্বরে কল দেওয়া হয়, তখনই একটি ভ্যান অ্যাম্বুলেন্স ও একটি বাইক অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়। এ সেবার পদ্ধতি হলো, ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। ’ সেজন্য দু’টিই পাঠানো হয়, রোগীর প্রয়োজনে যেটা লাগে, সেটাই ব্যবহার করা হয়। তবে কোনো কোনো জায়গায় যেকোনো একটাই পাঠানো হয়। আবার সব জায়গায় মোটরবাইক সুবিধাজনকও নয়।

এদিকে, শিগগিরই বাইসাইকেল অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালুর চিন্তা-ভাবনা করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।