কার্লোটা ফ্লোরসের রেস্টুরেন্টের নাম ‘এল চারো রেস্টুরেন্ট’। গত সপ্তাহে তিনি একটি চিঠি পেয়ে চমকে যান।
চিঠিতে ওই নারী ওয়েটার বলেন, তিনি ১৯৯০ সালের দিকে রেস্টুরেন্টটিতে কাজ করতেন। পাশপাশি তিনি অ্যারিজোয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। চিঠিতে সাবেক ওই ওয়েটার লেখেন, চুরির ব্যাপারটা আমার এক সহকর্মী সেসময় আমাকে ‘ভুলে’ যেতে বলে। কোনো এক নির্বুদ্ধিতার কারণে আমি চুরির ব্যাপারটি ভুলেও যাই। তিনি আরও লেখেন, আমি চার্চে বড় হয়েছি। এর আগে আমি কখনোই একটি রুপার মুদ্রাও চুরি করিনি এবং এ চুরির ঘটনার পরেও আর কখনো চুরি করিনি।
চিঠিতে ওই নারী ওয়েটার তার নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি। খামে প্রেরক হিসেবে নিজের নাম দিয়েছেন ‘একজন সাবেক কৃতজ্ঞ কর্মী’। চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চুরির পরিমাণ কয়েকশ ডলার হওয়ার আগেই আমাকে বহিষ্কার করেছেন।
ক্ষমা চেয়ে ওই নারী চিঠিতে লিখেছেন, প্রায় ২০ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু এ কারণে এখনও আমার অনুতাপ হয়। আমি দুঃখিত আপনার রেস্টুরেন্ট থেকে চুরি করেছিলাম। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন। আমার চুরির টাকা ২০ বছরের সুদসহ পরিশোধ করলাম। ঈশ্বর আপনাকে ও আপনার পরিবারকে ভালো রাখুন।
রেস্টুরেন্ট মালিক ফ্লোরস বলছেন, আমার পার্স চুরি হয়ে গিয়েছিল। এভাবে টাকা ফেরত পাঠিয়ে অনুতাপ প্রকাশ করা মানে এখনও আমাদের আশেপাশে অনেক ভালো মানুষ রয়েছেন। আমি আসলেই বুঝতে পারছি না, কে টাকা চুরি করেছে। কিংবা সে কোথায় আছে তাও জানি না।
রেস্টুরেন্ট মালিক ফ্লোরস বলেছেন, আমি ওই নারী ওয়েটারকে তার দেওয়া টাকা ফেরত দিতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৮
এএইচ/এএ