বাতাগাইকার নিম্নাঞ্চল থেকে এ ঘোড়া শাবকটি উদ্ধার করা হয়েছে। অনেকে বাতাগাইকার এ নিম্নাঞ্চলকে ‘পাতালে যাওয়ার রাস্তা’ হিসেবেও অভিহিত করেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘোড়া শাবকটি উদ্ধারের ফলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। তাদের ধারণা, মাত্র তিন মাস বয়সে ঘোড়া শাবকটি মারা যায়। উদ্ধার হওয়ার আগ পর্যন্ত ঘোড়া শাবকটির অটুট মৃতদেহটি ভূগর্ভস্থ হিমায়িত অঞ্চলে সংরক্ষিত ছিলো। তারা বলছেন, এ ঘোড়া শাবকটিই প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষিত বিশ্বের সবচেয়ে সুপ্রাচীন ঘোড়ার নজির।
রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের নর্থ-ইর্স্টান ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্টেফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ইকোলজি এবং জাপানের কিনদাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ উদ্ধার কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। তারা বলছেন, পুরাতন প্রস্তরযুগের এ ঘোড়া শাবকটি উদ্ধারের ফলে অনেক মূল্যবান বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়া যাবে।
ঘোড়া শাবকটির অবিকৃত মৃতদেহটি ভূমি থেকে ৩০ মিটার (৯৮ ফুট) গভীর থেকে উদ্ধার করেন বিজ্ঞানীরা। এটির গায়ের রং ছিলো ঘন বাদামি। সবচেয়ে অবাক করার ব্যাপার হলো ঘোড়া শাবকটির গায়ের পশম, লেজ, অভ্যন্তরীণ অঙ্গ সবকিছুই অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া এর শরীরে কোনো ক্ষতও পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ অঞ্চলের মাটির নমুনা বিশ্লেষণ করে চল্লিশ হাজার বছর আগের সময়ের অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাবে।
রাশিয়ার ইয়াকুতিয়া প্রদেশের ভারখায়ান্স্ক জেলায় বাতাগাইকা নিম্নাঞ্চলটি অবস্থিত। এটি প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৮০০ মিটার প্রস্থ। প্রত্যেক গ্রীষ্মেই এ ক্রেটারটির আয়তন বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা ১৯৬০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এ ক্রেটার নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা করেন। বিভিন্ন গবেষণায় গবেষকরা এ অঞ্চলে প্রাচীন বাইসন, ঘোড়া, হরিণ প্রভৃতির সন্ধান পান। যা পুরনো ইতিহাস উদঘাটনে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এএইচ/জেএম