লেখকদের দাবি, একসময় পৃথিবীর তিনটি প্রতিবেশী ‘নীল গ্রহ’ (যে গ্রহে পানি আছে) ছিল। তাদের মতে, বর্তমানে জীবনধারণের অনুপযোগী হলেও মঙ্গল, শুক্র ও বুধ গ্রহে অতীতে নদী ও সাগরের অস্তিত্ব ছিল।
পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী গ্রহ শুক্র। জীবনধারণের অনুপযোগী হলেও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে একে বলা হয় ‘পৃথিবীর দুষ্ট জমজ’। এখানকার উত্তপ্ত আবহাওয়ায় সীসা গলে যাবে, বায়ুমণ্ডল ছেয়ে আছে সালফিউরিক এসিডের বিষাক্ত মেঘে।
ধারণা করা হয়, সাগর, নীল আকাশ আর মেঘসমৃদ্ধ প্রথম গ্রহ ছিল শুক্র। ৭০০ মিলিয়ন বছর আগে শুকিয়ে যাওয়ার আগে অন্তত ২ বিলিয়ন বছর এটি বসবাসের উপযোগী ছিল।
প্রফেসর ব্রায়ান কক্স ও অ্যান্ড্রু কোহেন তাদের বইয়ে লিখেছেন, বছরের পর বছর ধরে চলা সব অনুসন্ধানের তথ্য একটি বিষয়ই নির্দেশ করে, শুক্র গ্রহে একসময় সাগর ছিল।
বুধ গ্রহের ব্যাপারে বলা হয়, পৃথিবী ও মঙ্গলের কাছাকাছি ধরনের পরিমণ্ডল ছিল এ গ্রহের।
তারা বলেন, বুধগ্রহের পরিমণ্ডলের আকার অনেক বড় ছিল, যা বায়ুমণ্ডল ধরে রাখতে সক্ষম। বৃহস্পতি গ্রহের টানে এর বায়ুমণ্ডল বিধ্বস্ত হওয়ার আগে, সেখানে প্রাণ বিকাশের উপযোগী সব উপাদানই ছিল।
তবে, লেখকদের মতে, মঙ্গল ছিল জীবনধারণের সবচেয়ে উপযোগী গ্রহ। লালগ্রহটি একসময় ছিল চকচকে নীল। সেখানে পাহাড় বেয়ে ঝরণা নামতো, নদী ছুটে চলতো বিস্তৃর্ণ অঞ্চলজুড়ে।
তাদের এ দাবির পক্ষে চলতি মাসের শেষের দিকে বিবিসি২ চ্যানেলে একটি ডকুমেন্টারি সিরিজ প্রচারিত হবে। ‘দ্য প্লানেটস’ নামের ওই ডকুমেন্টারিতে সৌরজগতে মানুষের বিভিন্ন অভিযান দেখানো হবে।
‘প্লানেটস’ বইয়ের প্রধান লেখক ব্রায়ান কক্স একসময় ডি:রিম নামে একটি ব্যান্ডদলে কিবোর্ড বাজাতেন। ১৯৯৭ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যাওয়ার পর তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কাজে মন দেন। হ্যামবুর্গের হাই এনার্জি পার্টিকেল ফিজিক্স থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পরে, বিবিসির ওন্ডার্স অব দ্য সোলার সিস্টেম সিরিজে যুক্ত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
একে