কথায় আছে, প্রয়োজনই আবিষ্কারের জনক। তেমনি বিপদে পড়েই বুদ্ধি খুললো ওই ব্যক্তির।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ঘটেছে এ ঘটনা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, বাবা দিবসের ছুটি কাটাতে কার্টিস হুইটসন তার প্রেমিকা ও ১৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। পরিকল্পনা ছিল, গিরিখাতের মধ্য দিয়ে আরোয়ো সিকো নদী অনুসরণ করে জলপ্রপাত পর্যন্ত পৌঁছাবেন। এরপর, সেখানে থাকা দড়ি বেয়ে বের হয়ে ক্যাম্পে ফেরত আসবেন।
সবই ঠিকঠাক ছিল। ভ্রমণকালে বড় বড় পাথর বেয়ে, নদীতে ভেসে, খোলা আকাশের নিচে স্বপ্নের মতো রাত কাটছিল তাদের।
কিন্তু, তিনদিন চলার পর তারা এমন একটা জায়গায় পৌঁছান, যেখানে গিরিখাতের ঢাল অন্তত ৪০ ফুট উঁচু। সেখানে যে দড়ি থাকার কথা, সেটাও খুঁজে পাওয়া গেল না। অর্থাৎ, তারা উপরেও যেতে পারছেন না, আবার নিচেও নামতে পারছেন না। তার ওপর, বিপদ বাড়িয়ে দেয় জলপ্রপাতের প্রবল ধারা।
কোনো দিকেই যাওয়ার উপায় নেই। এমন উভয়সঙ্কট পরিস্থিতিতে হঠাৎ দারুণ এক বুদ্ধি আসে হুইটসনের মাথায়। সময় কাটাতে খেলাধুলার স্কোর লিখে রাখতে কাগজ রেখেছিলেন প্রেমিকা ক্রিস্টাল রামিরেজ। ওই কাগজে নিজেদের আটকে পড়ার কথা লিখে একটি সবুজ প্লাস্টিকের বোতলে ভরে নদীতে ছুঁড়ে মারেন হুইটসন। তবে, তার আগে বোতলের গায়েও দাগ কেটে ইংরেজিতে লিখে দেন ‘হেল্প’ (সাহায্য)।
বিপদবার্তা নিয়ে ভাসতে ভাসতে চলে যায় বোতলটি। সৌভাগ্যক্রমে কিছু দূর পরেই ওই বোতল ও চিরকুট খুঁজে পান দুই পর্যটক। দ্রুত তারা উদ্ধারকারী বাহিনীকে খবর দেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করা হয় আটকে পড়া পরিবারটিকে।
হুইটসন জানান, জীবন বাঁচানো ওই দুই পর্যটকের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। তবে, সেটি বেশ কঠিন। কারণ, উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ওই দু’জন খবর জানানোর পর নিজেদের নাম ঠিকানা না জানিয়েই চলে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
একে