গতকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) থাইল্যান্ডের ইয়ালা প্রদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) হত্যা ও অস্ত্রমামলার ৫ আসামিকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে খালাস দিতে বাধ্য হন প্রাদেশিক আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক খানাকর্ন পিয়ানচানা। অথচ তার রায়ে ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড হতে পারতো। কিন্তু ঊর্ধ্বতনদের হস্তক্ষেপে তা করা সম্ভব হয়নি। এটি বিচারিক স্বাধীনতা ও ন্যায্যতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ ওই বিচারকের।
এরই প্রতিবাদে পরদিন আদালতকক্ষের ভেতর আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে নিজের বুকে গুলি চালান পিয়ানচানা। এর আগে রায়ে ঊর্ধ্বতন বিচারকদের হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তুলে ২৫ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগনামা তৈরি করেন তিনি। এটি বর্তমানে অনলাইন দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়, জুনিয়রদের ক্ষেত্রে রায় ঘোষণার আগে তত্ত্বাবধায়করা তা দেখতে পারেন। সেই সূত্রেই একটি মামলায় আসামিদের পক্ষে রায় দিতে তাকে বাধ্য করা হয়। দীর্ঘ ওই অভিযোগ্নামায় বিচার ব্যবস্থার আরও অনেক সমালোচনা করেন তিনি।
অন্যদিকে রায়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করে আদালতের এক মুখপাত্র জানান, পিয়ানচানা ব্যক্তিগত কোনো চাপ থেকে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে ব্যাংকক পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বুকে গুলি চালালেও সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন পিয়ানচানা। তার জখম প্রাণঘাতী নয়। তিনি বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন।
দীর্ঘদীন ধরে থাইল্যান্ডের বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে। ইদানীং তার মাত্রা আরও বেড়েছে। শধু তাই নয়, আদালত বর্তমানে রাজনৈতিকভাবেও প্রভাবিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ০৫ অক্টোবর, ২০১৯
এইচজে