সম্প্রতি ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনে ঘটেছে এমন অনবদ্য ঘটনা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রোর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রেমিকা লরার সঙ্গে সুখের সংসার সাজিয়েছিলেন গ্যারি স্মার্ট।
হঠাৎ একদিন বুকে-পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বাসায় ফেরেন গ্যারি। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার ওজন দ্রুত কমে যাচ্ছিল, কোনোভাবেই ঘুমাতে পারছিলেন না ৩৩ বছর বয়সী এই যুবক। চিকিৎসকরা তার বায়োপসি করান ও ফুসফুসে জমা তরল বের করে দেন। পরে জানা যায়, গ্যারির ফুসফুসে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার।
হাতে সময় নেই মোটেও, যেকোনো সময় মৃত্যুর হাতে ধরা পড়বেন গ্যারি। কথার মধ্যে একদিন প্রেমিকাকে জানিয়েছিলেন, তিনি অবিবাহিত মরতে চান না। একথা ঠিকই মনে রেখেছেন লরা। তাই তো প্রেমিকের শেষ ইচ্ছা পূরণে চটজলদি শুরু করেন বিয়ের আয়োজন।
লরা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম আরও কিছুদিন সময় পাবো। কিন্তু, গত সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে জানানো হলো, আর সময় নেই। তারা আমাদের বিয়ের আয়োজনেও সাহায্য করেছে।
‘মা আর আমি আংটি কিনতে বাইরে যাই। ফিরলে আমাদের বলা হয়, হাসপাতালের স্টাফরাই সব ব্যবস্থা করে ফেলেছে। তারা বলে, আমরা তোমাদের বিয়ের অনুমতি নিয়েছি ও যাজক জোগাড় করেছি। সন্ধ্যা ৭টায় তোমাদের বিয়ে। ’
ছবিতে দেখা যায়, ওই যুগল আংটি বিনিময় করছেন। গ্যারি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন, তার শরীরে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্র লাগানো। বিয়ের অতিথিদের জন্য বুফের আয়োজনও করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নববিবাহিত লরা বলেন, আমাদের অনেক আগেই বিয়ে করা উচিত ছিল। মনে হচ্ছিল, সবাই বিয়ের শুভেচ্ছার সঙ্গে গ্যারিকে বিদায়ও জানাচ্ছে। আমরা জানতাম, সে চলে যাচ্ছে।
নতুন দম্পতির বিবাহিত জীবন অবশ্য বেশিক্ষণ দীর্ঘ হয়নি। বিয়ের মাত্র সাত ঘণ্টা পরে নববধূকে পাশে রেখেই চিরবিদায় নেন গ্যারি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
একে