২৫ অক্টোবর চীনের জাশুয়াং শহরের ম্যাটারনিটি অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার হসপিটালের সি-সেকশনের মাধ্যমে একটি সুস্থ মেয়ে শিশুর জন্ম দেন তিয়ান।
তার স্বামী ৬৮ বছর বয়সী হুয়াং বলেন, শিশুটি স্বর্গ থেকে এসেছে আমাদের কাছে।
চীনা সংবাদমাধ্যমে তিয়ান বলেন, হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার সময় জানতে পারি আমি গর্ভবতী। ওই মুহূর্তে আমি সেটি চাইনি।
এ ব্যাপারে হাসপাতাল জানায়, তিয়ান প্রাকৃতিকভাবেই গর্ভবতী হয়েছিলেন কিনা তা তারা জানেন না। কারণ তিনি যখন হাসপাতালে আসেন, ইতোমধ্যেই তিনি গর্ভবতী ছিলেন।
চীনা গণমাধ্যম ‘দ্য গ্লোবাল টাইমস’ বাচ্চাটির নাম দেয় ‘তিয়ানচি’। যার অর্থ ‘স্বর্গের উপহার’।
তিয়ান-হুয়াং দম্পতির আরও দু’টি সন্তান রয়েছে। তাদের ছেলে জন্মেছেন ১৯৭৭ সালে। এর ঠিক দু’বছর পরই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ‘এক সন্তান’ নীতি চালু করে চীন সরকার।
চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ঝড় উঠেছে এই সংবাদে।
এক মন্তব্যকারী বলেন, বৃদ্ধ বয়সে তারা একটি সন্তান নিয়েছেন, যখন ওকে লালন-পালন করার সময় নেই তাদের। এর পুরো চাপ পড়বে বড় ভাইবোনদের ওপর।
আরেকজন বলেন, বেচারা শিশু! তার ২০ বছর হতে না হতেই বাবা-মায়ের খেয়াল রাখতে হবে তাকে।
এদিকে, অন্যরা ভাবছেন, দুই সন্তান থাকার পরও আরেকটি সন্তান নেওয়ার জন্য কোনো আইনি শাস্তি পেতে যাচ্ছেন কিনা এই দম্পতি।
২০১৬ সালে বেইজিং ‘এক সন্তান নীতি’ শিথিল করে দুই সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়।
তিয়ানের বয়স বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সীমা ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। এছাড়াও, চীনা নারীরা সাধারণত বেশ দেরিতে সন্তান নেন। কেউ কেউ একেবারেই সন্তান নেন না।
২০০৬ সালে চীনা নারীদের প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়ার গড় বয়স ছিল প্রায় ২৪ বছর। যা ২০১৬ সালে এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭ বছরে।
ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার প্রভাব চীনের জনসংখ্যায় খুব একটা পড়েনি। তবে, এই নীতির কারণে বয়সী নারীদের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
প্রতিবেদনটি জানায়, ২০১৭ সালে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে ৫১ শতাংশই ছিল দ্বিতীয় সন্তান। ২০১৬ সালে তা ছিল ৪০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এফএম/এএ