শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে অঙ্গরাজ্যের বেন্টন কাউন্টির অক্সফোর্ড শহরতলী থেকে জরুরি নম্বর ৯১১-এ একটি ফোন আসে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে ১৪০টি সাপ পরিবেষ্টিত ও গলায় ৮ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি পাইথন পেঁচানো অবস্থায় লরার মরদেহ পাওয়া যায়। ওই ১৪০ সাপের মধ্যে আনুমানিক ২০টি সাপের মালিক ছিলেন লরা নিজে।
যে বাড়িটিতে ওই নারীর মরদেহ পাওয়া যায়, তা মূলত সাপের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে জানায় পুলিশ। সেখানেই নিহত লরারও কিছু সাপ ছিল। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন তিনি নিজের সাপগুলোর দেখভাল করতে ওই বাড়িতে যেতেন। এরই মাঝে এ দুর্ঘটনা ঘটলো। কিন্তু কীভাবে লরার মৃত্যু হলো তা এখনও অস্পষ্ট।
ইন্ডিয়ানা পুলিশ সার্জেন্ট কিম রিলে জানান, ওই বাড়িটিতে কোনো মানুষ বসবাস করতো না। কিছুদিন আগেই এটির সংস্কারকাজ করা হয়। জায়গাটি মূলত সাপের সংগ্রহশালা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
রিলে বলেন, সম্ভবত লরা সাপগুলোকে দেখতেই সেখানে গিয়েছিলেন। এবং যে কোনো কারণেই হোক তিনি সেগুলোকে বাইরে বের করেন। এবং সাধারণত মানুষ সাপ নিয়ে যা করে, তিনিও তাই করছিলেন। সাপগুলোই সম্ভবত তার মৃত্যুর কারণ। এমনও হতে পারে পাইথন শ্বাসরোধ করে তাকে মেরে ফেলেছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) লরার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। তাতে করে তার মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে আশা করছে পুলিশ।
এদিকে বাড়িটির নথিপত্র ঘেটে দেখা যায়, এটির মালিক বেন্টন কাউন্টির পুলিশ ডোনাল্ড মানসান। লরার মৃত্যুকে তিনি এক ‘বেদনাদায়ক দুর্ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এইচজে