ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

সন্তান জন্মদান পর্যন্ত জানতেন না তিনি অন্তঃসত্ত্বা!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
সন্তান জন্মদান পর্যন্ত জানতেন না তিনি অন্তঃসত্ত্বা! অভিনেত্রী এরিন ল্যাংমেইড। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি মা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী এরিন ল্যাংমেইড। এমনিতে এটি তেমন কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সন্তান জন্ম দেওয়ার এক মিনিট আগেও নাকি তিনি জানতেন না, এতদিন প্রেগন্যান্ট (গর্ভবতী) ছিলেন! মা হওয়ার পর তাই একরকম ঘোরের মধ্যেই কেটেছে তার কয়েক মুহূর্ত।

সম্প্রতি ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এরিন। সেদিন বাথরুমে হঠাৎ চিৎকার শুনে ছুটে যান তার সঙ্গী ড্যান কার্টি।

উত্তেজনাকর সেই মুহূর্তের কথা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ড্যান।

সেভেন নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নিজের হৃদস্পন্দন শুনতে পাচ্ছিলাম আমি, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। এরিন সন্তানসম্ভবা, এ বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না।  

ড্যান বলেন, বাথরুমে গিয়ে দেখি বাবা হওয়ার খবর শোনার আগেই আমি বাবা হয়ে গেছি! এরিনের সারা শরীর নীলবর্ণ ধারণ করায় আমি প্রচণ্ড ভয়ও পেয়ে যাই।  

ইজলা দ্য সারপ্রাইজ চাইল্ড।  ছবি: সংগৃহীত

এরিন বলেন, আমি চিৎকার করেই বেহুঁশ হয়ে যাই। কারণ, আমার ধারণাই ছিল না এ বিষয়ে। ছিল না কোনো প্রস্তুতিও। হঠাৎ তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করি আর মিনিটখানেক যেতে না যেতেই বাচ্চার কান্নার শব্দে বাকশূন্য হয়ে যাই। কখন কীভাবে চিৎকার করেছি, মনেও করতে পারছি না এখন।

এক প্রশ্নের জবাবে সদ্য মা হওয়া এই অভিনেত্রী জানান, নয় মাসের মধ্যে একবারও বুঝতে পারেননি তার গর্ভে ধীরে ধীরে সন্তান বেড়ে উঠছে। এমনকি গর্ভাবস্থায় যেসব শারীরিক পরিবর্তন সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে, সেসবের কোন চিহ্নও তার শরীরে দেখা যায়নি। নিয়মিতই অভিনয় চালিয়ে গেছেন তিনি, পুরনো পোশাক-আশাক পরতেও কোনো অসুবিধা হয়নি। গর্ভাবস্থায় সাধারণত বমিভাব বা পেটে ব্যথা অনুভব করে মেয়েরা। তিনি সেটিও বুঝতে পারেননি।  

এরিন বলেন, নয় মাসের মধ্যে একবারও পেটের মধ্যে নড়াচড়া করেনি আমাদের রাজকন্যা। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ইজলা। সে পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে।

মা-বাবার সঙ্গে ইজলা।  ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোর প্রফেসর ড. মারকো দেল জুডিচে। তিনি জানান, এ ধরনের গর্ভাবস্থাকে বলা হয় ‘ক্রিপটিক প্রেগন্যান্সি’। তবে, জনসাধারণের মধ্যে এটি ‘সারপ্রাইজ বার্থ’ হিসেবেই পরিচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানে আজও এর রহস্য উদ্ভাবন হয়নি। তবে, দিনে দিনে এর সংখ্যা বাড়ছে।  

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি আড়াই হাজারে একজন নারী ‘সারপ্রাইজ বার্থ’র মুখোমুখি হন। আর ৪৭৫ জনে একজন গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে ধরতে পারেন তিনি সন্তানসম্ভবা।  

মারকো জানান, ক্রিপটিক প্রেগন্যান্সির হার কেন বাড়ছে, সেটি বিস্ময়ের। তবে, এটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, নারীদের গর্ভাবস্থায় সতর্ক থাকতে হয় অনেক বেশি। এ নিয়ে আরও বেশি গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন এ চিকিৎসাবিজ্ঞানী।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
কেএসডি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।