কর্ণাটকের তীর্থহালি তালুকের নালুরু গ্রামের বাসিন্দা শ্রীকান্ত গৌড়া। হনুমান ফসল খেয়ে যাওয়া আটকাতে কী করা যায় ভাবতে ভাবতে মাথায় আসে বাঘের কথা।
প্রথমে ব্যবহার করলেন বাঘের পুতুল। ক্ষেতের কাছে সেটি উঁচু জায়গায় রেখে দেন কৃষক শ্রীকান্ত। তা দেখে ফসলের দিকে ঘেঁষার সাহস পাচ্ছিল না হনুমানগুলো। এই কৌশল দিন দুয়েক পরে অন্য একটি জমিতেও একই পদ্ধতি ব্যবহার করেন। সেখানেও ফলাফল একই।
‘বাঘ’ ব্যবহারের কৌশল দু’বার কাজে দিলেও বেশিদিন যে এটা চলতে পারে না, সেটাও বেশ জানতেন শ্রীকান্ত। তাই এবার তিনি কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন আনেন। একটি কুকুরকে বাঘের মতো ডোরাকাটা রং করেন। কুকুরটির গায়ে কলপের কালো রং মাখিয়ে দেন। দূর থেকে তার ডোরাকাটা দাগ দেখলে মনে হবে সত্যিই যেন একটি বাঘ দাঁড়িয়ে রয়েছে।
শ্রীকান্তের এই কুকুরকে বাঘ সাজানোর কৌশল ভালোই কাজে দেয়। বাঘ সেজে কুকুরটি ক্ষেতের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় আর তার ভয়ে হনুমান ফসলের ধারেকাছেও ঘেঁষার সাহস করে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এএটি/একে