মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত ৬৫ বছর বয়সী মিশেল শামবাখ। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য গুয়েতেমালা থেকে ওহিওর ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকে আসেন তিনি।
তার মেয়ে মারি শামবাখ গুয়েতেমালায় কর্মরত একজন চিকিৎসক। মাকে সাহস দেওয়ার জন্য কিছু করার কথা ভাবছিলেন তিনি। এর আগে কখনো তুষার দেখেননি বলে সেটি দিয়েই কিছু করার কথা ভাবলেন।
মারি বলেন, ‘আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি বিরাট খালি জায়গা এবং মনে হলো এতে আমি কিছু লিখতে পারবো। ’ রাতে তুষারপাতের মধ্যেই জমাট তুষার খুঁড়তে থাকলেন তিনি। তাতে কাজ হলো না তেমন। তাই পরদিন তিনি আবার চেষ্টা করলেন। এবার মায়ের উদ্দেশ্যে তুষারের মধ্যে লিখলেন, ‘সাহস রাখো, মা’।
মারি বলেন, তারপর আমি বাবাকে বলি মাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে জানালার কাছে আসতে। হাসপাতালে নিজের কক্ষের জানালা দিয়েই সেটি স্পষ্ট দেখতে পেলো মা। অনেক বেশি খুশি ছিল সে।
মারি চাচ্ছিলেন ওই হাসপাতালের অন্য রোগীরাও যেন লেখাটি দেখে সাহস পায়। পরে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক লেখাটির ছবি টুইটারে পোস্ট করে লেখে, আমাদের প্রধান ক্যাম্পাসে সুন্দর এ বার্তাটি পেলাম আজ। যিনি এটি লিখেছেন, তার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনি আমাদের হৃদয় ছুঁয়েছেন।
তারপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এ নিয়ে মারি বলেন, আমি খুব খুশি যে আমার মায়ের জন্য অনেকে প্রার্থনা করছেন। এটি তার মুখে হাসি এনে দিয়েছে।
মারির বিশ্বাস হাসি-খুশি থাকলে তার মা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। সত্যিই তাই হলো। পরদিনই পরীক্ষা করে দেখা গেলো, তার মায়ের শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বেড়েছে। চিকিৎসকরা জানালেন, ওষুধে কাজ হচ্ছে। কিন্তু মারির ধারণা শুধু চিকিৎসা নয়, অনেক সহযোগিতা ও প্রার্থনার ফলাফল এটি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
এফএম