সম্প্রতি নিউইয়র্কের জেরেমি কোহেন এবং টোরি সিংনারেলার প্রেমকাহিনীর এমনই চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ভাইরাল সারাবিশ্বে। আর ভিডিও ব্লগার ‘নাস ডেইলি’তে এই প্রেমকাহিনী নিয়ে এক ভিডিও প্রকাশিত হলে বেশ আলোচিতও হয়ে ওঠে জেরেমি-টোরির প্রেমগল্প।
ব্রুকলিনে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় নিজ ব্যালকনি থেকে পাশের একটি ভবনের ছাদে টোরিকে নাচতে দেখেন জেরেমি। অবশ্য তখনও টোরির নাম না জানা জেরেমি বেশ আকৃষ্ট হয়ে পড়েন টোরির প্রতি। একই এলাকায় থেকেও কোয়ারেন্টিন এর কারণে টোরির সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে যেতে পারছিলেন না জেরেমি। তখন সাহায্য নেন প্রযুক্তি। একটি ড্রোনে নিজ নম্বর লিখে উড়িয়ে দেন টোরির উদ্দেশ্যে। এরপর আর খুব একটা বেশি বেগ পেতে হয়নি জেরেমি। বেশ লম্বা সময় চ্যাটের পর দুইজনই দু’জনকে পছন্দ করা শুরু করলেন। ঠিক করলেন ডেট করার। আর তখন আবারও বাঁধ সাধল করোনার কারণে সামাজিক দূরত্বে থাকার বাস্তবতা। তবে এবারও থেমে থাকেননি জেরেমি। সঙ্গে ছিল টোরি। দু’জনই অংশ নেন ‘রিয়েল ডেটে’। আর সেই ডেটে জেরেমি অংশ নেন নিজ ব্যালকনি থেকে। ২০০ মিটার দূরে টেবিলের অপর পাশে টোরি যোগ দেন নিজ ছাদ থেকে। সঙ্গে ছিল স্মার্টফোন প্রযুক্তির ভিডিও কলিং প্রযুক্তি। কিন্তু এভাবেও যেন মন মানছিল না দু’জনের।
জেরেমি সিদ্ধান্ত নেন সরাসরি টোরির সঙ্গে দেখা করার। তবে তাই বলে সচেতনতাবোধ হারিয়ে ফেলেননি প্রেমিক জেরেমি। সামাজিক দূরত্ব মেনেই টোরির সঙ্গে সরাসরি দেখা করার অভিনব এক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটান তিনি।
নিজেকে বড় একটি স্বচ্ছ বাবল বলে মুড়ে নেন জেরেমি। এরপর বাবল বলের ভেতরে থেকেই হেঁটে যান টোরির বিল্ডিংয়ের সামনে। হাতে গ্লাভস পরা টোরি আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন তারজন্য।
দৃশ্যপটের ভিলেন হিসেবে আবির্ভুত হয় নিউইয়র্ক পুলিশ। তবে বাবল বলের মধ্যে থেকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করায় সেযাত্রা পুলিশ আর বিরক্ত করেনি এই লাভ বার্ডদের। তবে ভুল করে বসেছেন জেরেমি।
টোরির সঙ্গে প্রথম দেখা নিয়ে আসা ফুলও নিজের সঙ্গে বাবল বলের ভেতরেই নিয়ে ফেলেছেন জেরেমি। ফলে সে যাত্রা আর ফুলগুলো দেওয়া হয়নি টোরিকে। তবে বাবল বলের মধ্যে থাকা জেরেমির সঙ্গে একটা ‘ওয়াক’ এ অংশ নেন টোরি। তবে বাবল বলের মধ্যে থেকেও নিজেদের প্রথম সাক্ষাৎ বেশ ‘কিউট’ ছিল বলেই মন্তব্য দু’জনের। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে করোনার প্রকোপ শেষ হলে নিজেদের সরাসরি ডেটে কি করেন এই যুগল সেটিই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
এসএইচএস/এএটি