ডিটেকটিভস অব সুপারন্যাচারালসের সদস্যরা মানুষের নয়, ভূতের গোয়েন্দা। ভূত দেখার বাসনায় তারা হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেছেন।
এ ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। খবর: জি ২৪ ঘণ্টা
রেজিস্টার জেনারেলের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতিকে করা এ আবেদনে বলা হয়েছে, তারা ‘হন্টেড হাউজ’ বলে খ্যাত কলকাতা হাইকোর্টে একটি রাত কাটাতে চান। বিশেষ করে ১১ নম্বর ঘরে থাকতে চান। সে ঘরটির নানা দুর্নাম আছে।
সেখানে তারা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মতভাবে ভূত পরীক্ষার এ কাজটি করবেন।
ডিটেকটিভস অব সুপারন্যাচারালসের অন্যতম দেবরাজ সান্যাল বলেন, এ বিষয়ে হাইকোর্টের তরফ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। কোনো অনুমতি আসেনি। তবে কথাবার্তা চলছে।
দেবরাজ নিজের পরিচয় দেন ‘ঘোস্টবাস্টার’ হিসেবে। তিনি বা তার দল কি ভূতে অবিশ্বাসী? বিশ্বাস- অবিশ্বাসের ধার দিয়েই যান না তারা।
এ বিষয়ে পরিষ্কার করে তারা জানান, যেসব অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা কাজটি করেন, কাজ চলাকালীন সেগুলোর সেই সময়কার স্বাভাবিক রিডিয়ংয়ে তারা কিছু বদল প্রত্যাশা করেন। এমন বদল, যা সেই মুহূর্তে স্বাভাবিকভাবে সম্ভবই নয়, কিন্তু অস্বাভাবিকের দ্বারা তো সবই হতে পারে! একমাত্র তেমনটা ঘটলে তবেই তারা প্রাথমিকভাবে বিশ্বাস করেন সংশ্লিষ্ট জায়গায় কিছু না কিছু আছে।
দেবরাজ বলেন, যেসব জায়গায় প্রচুর বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয় বা যেখানে কাছাকাছির মধ্যে মোবাইল টাওয়ার থাকে সেখানে একটা ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়ে যায়, যা মানুষকে হ্যালুসিনেশনের শিকার হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। সংশ্লিষ্ট জায়গাটি ভিজে স্যাঁতসেঁতে হলে এ ফিল্ড আরও সক্রিয় হয়। এর ওপর থাকে সংশ্লিষ্ট স্থানটির বাসিন্দার অবচেতন মন। অবচেতন মন মানুষকে সেটাই দেখায়, যেটা সে দেখতে চায় না। এসব যোগাযোগগুলো একসঙ্গে সক্রিয় হয়ে ওঠে বলেই সংশ্লিষ্ট জায়গায় সংশ্লিষ্ট মানুষ ভূত দেখে!
এ টিমটি ইতোমধ্যেই জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের ভূতুড়ে বলে খ্যাত একটি বাড়িতে রাত কাটিয়েছে। তারা জানিয়েছেন, তাদের পরীক্ষায় সেখানে কোনো স্পিরিটের অস্তিত্ব ধরা পড়েনি।
তবে কলকাতা হাইকোর্টে কী হয়, তা জানার জন্য অপেক্ষায় আছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
জেডএ