ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আবু কাউসার মিন্টু নামে এক ব্যক্তি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় চার কিলোমিটার লম্বা পতাকা টানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন।
পতাকাটি বানাতে লাখ পাঁচেক টাকা তার খরচ হয়েছে।
আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে প্রিয় দলের প্রতি সমর্থন জানাতেই তার এ উদ্যোগ। এরই মধ্যে তার এ দীর্ঘ পতাকা এক নজর দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। দীর্ঘদিন কোরিয়া থাকার কারণে দেশটির প্রতি জন্ম নিয়ে ভালোবাসা। তার-ই নিদর্শন হিসেবে মিন্টু পতাকাটি তৈরি করেছেন। মিন্টু জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালনা গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।
সুদীর্ঘ পতাকা তৈরি বিষয়ে জানতে চাইলে মিন্টু বলেন, ১৯৯৮ সালে আমি জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলাম। ২০০২ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলা দেখি কোরিয়ায়। সে সময় কোরিয়ার খেলায় মুগ্ধ হই। এরপর থেকে কোরিয়ার একনিষ্ঠ সমর্থক আমি। ২০০৬ সালে দেশে ফিরে পাশের তেজখালী গ্রামের সাবিনা বেগমকে বিয়ে করি। পরে আমার স্ত্রী কোরিয়ার গল্প শুনে সেও কোরিয়ার একনিষ্ঠ ভক্তে পরিণত হয়। পতাকাটি তৈরি করতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। স্ত্রীর সঞ্চিত টাকা ও আম বাগান বিক্রি করে আমি এ পতাকাটি বানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমার বিশাল পতাকা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন। বিষয়টি খুব উপভোগ করছি আমরা।
স্থানীয়রা বলেন, এত বড় পতাকা আমরা জীবনে কখনও দেখিনি। এক মাস আগে অর্ডার দিয়ে পতাকাটি তৈরি করানো হয়েছে। পতাকার কারণে অনেকেই এখন ছোট্ট গ্রামটিকে কোরিয়া গ্রাম বলে ডাকছেন। কোরিয়ার খেলা হলেই মিন্টু বাড়িতে পতাকা টানান। তবে তিনি কোনো লাভের জন্য এ পতাকাটি তৈরি করেননি। তিনি চান কোরিয়ার মানুষ বাংলাদেশটাকে আরও চিনুক জানুক।
মিন্টুর স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী কোরিয়া থেকেছে দীর্ঘদিন। সেখানে থাকা অবস্থায় কোরিয়ার প্রতি অন্য রকম ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে। সে সব সময় আমার কাছে ওই দেশের প্রশংসা করে। এতে আমিও দেশটির ভক্ত হয়ে গেছি। তাই আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আমরা ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ দেশটির বিশাল পতাকা বানিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২২
এসআই