যদিও কেউ কেউ বলবেন অমুকের চেয়ে তমুকের গদ্য-পদ্য অনেক ভালো, উনি পেলে তিনি কেন পাবেন না? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতি বছরের মতো এবছরও উক্ত আলোচনা বেশ লাইক পাচ্ছে, নজর কাড়ছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন কিংবা প্রসঙ্গে ভিন্ন।
বাংলা একাডেমি মোট দশটি শাখায় পুরস্কার দেয়। যেমন- কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ, গবেষণা, অনুবাদ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনী, নাটক, বিজ্ঞান/প্রযুক্তি/পরিবেশ ও শিশুসাহিত্য। খেয়াল করুন, সাহিত্যের উল্লেখিত শাখাগুলোর মধ্যে গান কিংবা সংগীত নেই। কিন্তু কেন নেই? গান কিংবা সংগীত কি সাহিত্য নয়?
নাকি বাংলা একাডেমির কর্তা ব্যক্তিরা সংগীতকে কে সাহিত্য মনে করেন না? তাহলে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি কি সাহিত্য নয়? গীতাঞ্জলির জন্যই কিন্তু তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালে আমেরিকান গীতিকার ও শিল্পী বব ডিলানকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। তাহলে আমাদের দেশের লালন ফকির, হাছন রাজা, উকিল মুন্সী এবং শাহ আব্দুল করিমদের মতো গুণীজনরা কি সাহিত্যে অবদান রাখেননি? কিংবা এখনো বেঁচে আছেন এমন গীতিকার যিনি দুই/তিন হাজার গান রচনা করেছেন; তার অবদানের স্বীকৃতি মিলবে না কেন? কেউ কি আছেন, যিনি বাংলা একাডেমির কাছে এই প্রশ্নটি উত্থাপন করবেন?
পুনশ্চ: আমি বিশ্বাস করতে চাই, একদিন গীতিকবিরাও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এএ