মজার ব্যাপার হলো, আমার এই পোস্টের নিচে একজন মন্তব্য (comment) লিখে গেছেন, “আপনি তো ঘুরিয়ে প্রিয়া সাহার পক্ষেই সাফাই গাইলেন”। আমি পরে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকে ঠিকই খুঁজে পেলাম জামায়াতি-মৌলবাদী আলামত; যা আমি তার ‘মন্তব্য’ পড়েই আন্দাজ করেছিলাম।
বুঝতে বাকি রইলো না যে, ধর্মান্ধ-মৌলবাদী-জামায়াতিগোষ্ঠী প্রিয়া সাহার দেশবিরোধী এই জঘন্য কাজটিকে তাদের মতো করে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। পুরো হিন্দু সম্প্রদায়কে নোংরা ভাষায় গালাগাল দিয়ে বক্তব্য প্রচার করে ধর্মীয় উস্কানি ছড়িয়ে দিচ্ছে।
আমার চেনাজানা হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত প্রতিটি বিবেকবান এবং প্রগতিশীল মানুষ প্রকাশ্যে প্রিয়া সাহার কঠোর সমালোচনা করেছেন। এমনকি হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত একজন সাংবাদিক টিভিতে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে গর্ব করে বলছিলেন- বর্তমান বাস্তবতায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভারতের থেকেও শতগুণ ভালো অবস্থায় আছে। একথা বলতে গিয়ে তার মধ্যে আমি একজন বাংলাদেশি হিসেবে গর্ববোধের বহিঃপ্রকাশ দেখেছি।
বাংলাদেশের একজন গর্বিত নাগরিক হিসেবে একটা কথা বলতে চাই, এখানে মৌলবাদ এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কোনো জায়গা আমরা দেব না। সকল প্রগতিশীল মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ভাই-বোনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করতে চাই।
প্রিয়া সাহাদের জঘন্য দেশবিরোধী অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি মৌলবাদী এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে বাংলার সকল প্রগতিশীল মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে, এ ঘোষণা করতে চাই। প্রিয়া সাহাদের কৃতকর্মকে ঘিরে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমরা বিনষ্ট হতে দেব না। এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
জয় বাংলা
লেখক
আহ্বায়ক, সুচিন্তা বাংলাদেশ ও চেয়ারম্যান, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯