ঢাকা: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ এর প্রতীক ‘মশাল’ নিয়ে দলটির দু’পক্ষের মধ্যে টানাটানি গড়িয়েছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)।
সম্প্রতি জাতীয় কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় জাসদ
হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে একপক্ষ জাসদের নামে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তালিকা পাঠায়।
সমস্যা আরো জটিল হয় যখন দুইপক্ষই নিজেদের মূল জাসদ দাবি করে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রতীক হিসেবে নিজেদের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ‘মশাল’ বরাদ্দ দিতে বলে।
সোমবারও (০৪ এপ্রিল) তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ২৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর তালিকা পাঠিয়ে তাদের ‘মশাল’ প্রতীক দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি পাঠিয়েছেন ইনু।
জাসদ ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে ১৩ নম্বর দল হিসেবে নিবন্ধন পায়। সে সময় হাসানুল হক ইনু দলটির সভাপতি এবং শরীফ নুরুল আম্বিয়া ছিলেন সাধারণ সম্পাদক।
বর্তমানে ইনু অংশের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। আর শরীফ নুরুল আম্বিয়া অংশের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান ও কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দীন খান বাদল।
দু’পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো আইনগত সিদ্ধান্ত না হলেও তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দু’পক্ষের প্রার্থীদেরই মনোনয়নপত্র বাছাই করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) তৃতীয় ধাপের প্রতীক বরাদ্দ হবে।
এ অবস্থায় ‘মশাল’ কার হাতে যাবে বিষয়টি নির্ধারণে দু’পক্ষেরই শুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এক্ষেত্রে আগামী বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতারকে ডাকছে সংস্থাটি। আর বিকালে মঈন উদ্দীন খান বাদল ও নাজমুল হক প্রধানের শুনানি করা হবে।
অন্যদিকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ‘আম’ প্রতীক নিয়েও বিরোধ উত্থাপিত হয়েছে। দলটির দু’পক্ষকেও শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে।
এ বিষয়ে ইসি’র যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী বাংলানিউজকে জানান, শুনানির পরই সিদ্ধান্ত হবে ‘মশাল’ কার হাতে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৬
ইইউডি