বৃহস্পতিবার (০৪ মে) বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
‘প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন হয় না, সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র চাই না’ এবং ‘শিক্ষা ধ্বংস রুখে দাঁড়ান, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলুন’ এই আহ্বানে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন করছে ছাত্র ফেডারেশন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ কামাল, আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের সারাদেশের কাউন্সিলর, পর্যবেক্ষক ও সাবেক অনেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই সরকার দেশের মানুষের বিপক্ষে, এই সরকার বিদেশপন্থি। সম্পদ পাচার, বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ পাচার, বড় বড় প্রকল্পের নামে বড় বড় ডাকাতি করে চলেছে। এসব লুটপাট ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ছাত্র ফেডারেশনের দেওয়া আজীবন সম্মাননা প্রসঙ্গে প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ তার অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, এই সম্মাননা আমাকে প্রচুর আনন্দ দিয়েছে। দেশের মানুষ ছাত্রদের ওপর আশা করে, ভরসা রাখে। আমিও অনেক আশা করি। শোষণের বিরুদ্ধে, দেশের স্বার্থের পক্ষে ছাত্র ফেডারেশনের ভূমিকা সর্বাধিক উজ্জ্বল।
সমাবেশে প্রধান বক্তা জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশ এক ভয়াবহ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রসমাজকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সৈকত মল্লিক বলেন, স্বৈরাচারী শাসকের হাতে প্রাণ-প্রকৃতিও রক্ষা পায় না। ছাত্রসমাজের গণতান্ত্রিক ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে মানুষ ও প্রকৃতির ওপর স্বৈরাচারী সরকারের আগ্রাসী থাবাকে প্রতিহত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
পিআর/এমজেএফ