নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বিপর্যয়ে এত অজস্র প্রাণের নিহত হওয়ার পরও শোক দিবস পালনে সরকারের উদাসীনতা প্রমাণ করে যে, পাহাড়ে এই মৃত্যুকে সরকার স্বাভাবিক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে চায়।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় এ দাবি জানানো হয়।
নেতারা বলেন, গণসংহতি আন্দোলন মনে করে এই বিপর্যয় কোনো স্বাভাবিক দুর্ঘটনা নয়। একদিকে এতগুলো মানুষের প্রাণহানি যে মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে, সেই নিহত মানুষগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যই এই রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালন করা কর্তব্য। অন্যদিকে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে যেন মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হয় এবং পাহাড়ে ধ্বংস, দখল ও লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে বাধ্য করে, সেই লক্ষ্যেই আমরা এই রাষ্ট্রীয় শোক পালনের দাবি জানাচ্ছি।
নেতারা আরও বলেন, পাহাড়ের স্বাভাবিকতা বিনষ্ট করে বসতি স্থাপন, পাহাড়ের গোড়া কেটে সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ, পাহাড়ের প্রকৃতির সাথে সাযুজ্যহীন আবাদের ফলাফল হলো পাহাড়ে ধস নামা। এ বছর এত বিপুল পরিমাণে এই ঘটনা ঘটেছে যে, তা থেকেও বোঝা যায় সাম্প্রতিক সময়ে এই তৎপরতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণেই স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতেও একসাথে এতগুলো পাহাড় ধসে গিয়েছে।
গণসংহতি আন্দোলন দাবি- পাহাড়ে বাইরের মানুষদের নতুন করে বসতি স্থাপন বন্ধ করা, পাহাড়ের অরণ্য ও স্বাভাবিকত্ব রক্ষায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী আবাদ ও বসতিগুলো রক্ষা করাকে সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কর্তব্য হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। উল্টোদিকে সরকারই সেখানে ভূমিগ্রাস, উন্নয়নের নামে গভীর অরণ্যে যথেচ্ছ অবকাঠামো নির্মাণ এবং পাহাড় কাটা ও পাহাড় দখলের প্রধান মদদদাতা হিসেবে ভূমিকা রাখছে। তাদের এত বছরের পুঞ্জীভূত কাজের পরিণাম পাহাড়ের এই বিপর্যয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
পিআর/এমজেএফ