রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ইন্টারন্যাশনাল ডায়ালগ এইড ফাউন্ডেশন (ইডাফ) আয়োজিত 'রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ এবং আমাদের ভূমিকা' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, মিয়ানমারকে দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া, চীন, আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারত।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কের চেয়ে বড় আর কিছু নাই। প্রধানমন্ত্রী আপনি প্রথমে পুতিনের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করুন, সরাসরি দেখা করুন। চীনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান। আর ভারতের নরেন্দ্র মোদির সাথে আপনার বন্ধুসুলভ সম্পর্ক, তাই সে কাজটি আপনার জন্য সহজ হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে এ দেশের করণীয় অনেক আগেই সমাপ্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমাদের দায়িত্ব ছিল এই ইস্যুটিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে বিশ্ব সমাজের সামনে তুলে ধরা। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণীর মানুষ এ কাজটি সার্থক ভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে। এখন বাকি শুধু আন্তর্জাতিক বা কূটনৈতিক তৎপরতাযর দিকে সরকারের এগিয়ে যাওয়া। সেটি পারছে না বলেই ব্যর্থতার প্রশ্ন উঠছে।
আয়োজন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুর রউফ, মোঃ জামাল উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, ড. এম গোলাম সারোয়ার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ কি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ভোটের রাজনীতি করতে চায়? তারা কি বলতে চায়, আরেকবার ক্ষমতায় এলে আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান করব। ১৯৯২ সালের চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা প্রচার করছে সরকার। সে চুক্তি অনুসারে মাত্র পাঁচ হাজার মানুষকে ফিরিয়ে নেয়া হবে, তাও ধাপে ধাপে। তাহলে বাকি লাখ লাখ রোহিঙ্গা কি এদেশে থেকে যাবে? এসব প্রশ্নের সঠিক জবাব চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
এমএএম/জেডএম