মঙ্গলবার (১০ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদের (এনএসডিসি) সম্মেলন কক্ষে এনএসডিসি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) আয়োজিত ‘দক্ষতা উন্নয়নে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে সংবাদপত্রের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তদবির ও দুর্নীতি কমাতে পারলে দক্ষতা, মান ও মেধার সম্মান পাওয়া যাবে।
গণমাধ্যমকে সোচ্চার হওয়া আহ্বান জানিয়ে ইনু বলেন, মান ও দক্ষতার প্রকৃত মূল্যায়ন করতে হলে গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে। দেশের অতন্দ্র প্রহরীর মতো গণমাধ্যম উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। গণমাধ্যম সমালোচনা করলেই বাজেট শতভাগ সম্পন্ন করা সম্ভব।
দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে জনশক্তিকে দক্ষ ও কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হতে চলেছে। এক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগুতে মানসম্মত দক্ষ জনশক্তি মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের পরের ধাপে পৌঁছাতে রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। আমরা প্রায়শই মনে করে থাকি রাজনীতি ও সুশাসন হাতের এপিঠ-ওপিঠ। অর্থনীতির সুশাসন আমরা আলোচনাতেই আনি না। যখনই সুশাসনের বিষয় আসবে তখনই ভাবতে হবে রাজনীতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও দক্ষ জনশক্তি দরকার।
এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সমৃদ্ধি, সংবিধান, গণতন্ত্র ও সুশাসনের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম তথ্য সেতুর কাজ করছে। তাই দেশের সার্বিক উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এনএসডিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) এবিএম খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, এনএসডিসি সচিবালয়ের উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান, নেপাল চন্দ্র কর্মকার, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এএসএম আসাদুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
এইচএমএস/ওএইচ/