বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি বরিশাল জেলা শাখার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন কৃষক মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নিলু, বরিশাল জেলা সংগঠক হারুনুর রশিদ মাহমুদ, জেলা সদস্য আ. জব্বার হাওলাদার, মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মুকুলনাহার বেগম, হাসান মোল্লা, আ. মজিদ হাওলাদার, আরিফুর রহমান মিরাজ, নবীন আহমেদ প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, মাথাপিছু গড়ে ৩০ হাজার টাকা ঋণের দায়ে দেশব্যাপী এক লাখ ৬৮ হাজার ১৭৫ জন কৃষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করা হয়েছে। সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর ঋণের টাকার পরিমাণ হলো ৫১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ১১ হাজার ৭৭২ জন কৃষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যে সমস্ত কৃষকরা টাকা পরিশোধ করতে পারেননি তারা মাথায় গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
কৃষক মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নিলু বলেন, এসব মামলায় রয়েছেন প্রান্তিক বর্গাচাষি ও যারা অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষ করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারছেন না তারা। ঋণগ্রস্থ এই কৃষকদের অনেকেই আবার পাঁচ হাজার টাকা মূল ঋণ নিয়েছেন যা ১০ বা ১৫ বছরে সুদে আসলে বেড়ে দ্বিগুণ বা তার বেশি হয়েছে। যে কৃষক দেশের ১৭ কোটি মানুষের অন্ন যোগান দিচ্ছে তাদের কোমরে দড়ি বাঁধার জন্য তৎপরতার কোনো কমতি নেই!
স্মারকলিপিতে কৃষি ঋণ মওকুফ, সার্টিফিকেট মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারসহ ৮ দফার দাবির কথা তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
এমএস/এমজেএফ