শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি কথা বলেন।
বিবৃতিতে ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেন, আমরা এদেশ স্বাধীন করেছি।
কর্নেল অলি আরও বলেন, বিগত কয়েকদিন পূর্বে হঠাৎ সরকার জানতে পারল যে, ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কৃষকলীগের কিছু সদস্যরা জুয়া, মদ এবং অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত ঢাকা মেট্রোপলিটনের কিছু কিছু কর্তা ব্যক্তি ও থানার ওসিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব এবং প্রধান প্রকৌশলীরা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কয়েক লক্ষ হাজার কোটি টাকা ঘুষ হিসাবে গ্রহণ করে বিদেশে পাচার করেছে। জি কে শামীমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বস্তায় বস্তায় টাকা মন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিনিয়ত পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে এবং টিআইবির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে। অনুরূপভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। এখন জনগণের মনে প্রশ্ন হল, তাদের কষ্টার্জিত এই টাকা কয়েক জন অসাধু রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মচারীরা কীভাবে আত্মসাৎ করেছে, কীভাবে বিদেশে পাচার করেছে। সরকার কি জানত না? তাহলে গোয়েন্দা বা পুলিশের কি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা মনে করি, এই ধরনের জঘন্য রাষ্ট্রদ্রোহী অনৈতিক কাজ কখনও সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সম্ভব নয়।
‘অনেক অবৈধ মন্ত্রী বলছেন জুয়া ও মাদক জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের সময় থেকে আরম্ভ হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিগত ১১ বছর এইগুলি বন্ধ করার জন্য আপনারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য অনেকগুলো আইন বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন নতুন আইন পাশ করা হয়েছে অথচ জুয়া ও মাদক বন্ধ করার জন্য কোন আইন পাশ করা হয় নাই। শুধু অন্যকে দোষারোপ করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চায়’। এখনও পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা সকলে সরকারি দলের নেতা। সুতরাং অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ সময় : ০০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
এমএইচ/আরকেআর/এসআইএস