সোমবার (১৫ জুন) এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রসঙ্গে সিপিবির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
সিপিবি সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট কেবল খামখেয়ালিপূর্ণ ও গতানুগতিকই নয়, এ বাজেট সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে চরম আঘাত।
‘মহামারি পরিস্থিতিতেও এই বাজেটে সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থ একটুও বিবেচনায় নেয়নি। আজকের পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাত সবচেয়ে বড় বরাদ্দের দাবি রাখে। আমরা বলেছিলাম, বাজেটের ১৫ শতাংশ বা জিডিপির ৪ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দিতে হবে। সরকার তার ধারে-কাছে যায়নি। প্রস্তাবিত বাজেট দেখে মনেই হয় না যে, দেশে এবং সারা দুনিয়ায় একটা মহামারি চলছে।
সিপিবি নেতা আরও বলেন, বাজেট উত্থাপনের আগে সিপিবি যে সুপারিশমালা দিয়েছিল, প্রস্তাবিত বাজেটে সেসব সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। বিগত সব বাজেটেরই মৌলিক বিষয় হচ্ছে, ধনীকে আরো ধনী এবং গরিবকে আরও গরিব করা। এবারের বাজেটও তার সামান্য ব্যাতিক্রম নয়। সরকারের দর্শন হলো- গরিবের কাছ থেকে টাকা নিয়ে লুটেরা-ধনিক শ্রেণীর জন্য তা ব্যয় করা। বাজেটে আয়ের উৎস প্রধানত- পরোক্ষ কর, অর্থাৎ টাকা আদায় করা হবে মূলত সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। অন্যদিকে আবার কর্পোরেট শ্রেণীর প্রত্যক্ষ করের হার কমানো হয়েছে। কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করলে এবং পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফিরিয়ে আনলে অন্তত ৩ বছর বাজেটে অর্থের অভাব হবে না।
সিপিবি লুটেরাদের স্বার্থে প্রস্তাবিত এ বাজেট বাতিল করে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দিয়ে ৯৯ শতাংশ মানুষের জন্য বাজেট প্রণয়ন করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন। সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন এটি সঞ্চালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
আরকেআর/এইচজে