বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধের জন্য যে বিল কোম্পানিসমূহের কাছ থেকে পেয়েছেন তার সঙ্গে মিটার রিডিংয়ের কোনো সম্পর্ক নেই এবং পূর্ববর্তী মাসের সঙ্গে তা অসঙ্গতিপূর্ণ।
দুই নেতা বলেন, করোনাকালে গত তিন মাস যাবৎ মানুষ প্রায় আয়হীন। অনেক চাকুরীজীবী তাদের কর্ম হারিয়েছেন নতুবা পূর্বের তুলনায় প্রায় অর্ধেক বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অধিকাংশ মানুষের সাধারণ জীবনযাপনেও নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর এ আচরণ অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। অবিলম্বে মনগড়া ভুতুড়ে বিল প্রত্যাহার করে মিটার রিডিং অর্থাৎ ব্যবহারভিত্তিক বিল প্রদানের আহবান জানান। সেই সঙ্গে ৩০ জুনের মধ্যে বিল পরিশোধের বাধ্য-বাধকতা প্রত্যাহার তথা বিলম্ব সুদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় এই করোনাকালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বছরে একাধিকবার বৃদ্ধির জন্য সংসদে যে বিল উত্থাপিত হয়েছে তাকে সম্পূর্ণ জনস্বার্থ বিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, ২০০৩ সালে পাশ হওয়া বিদ্যমান আইনে কোনো অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না, কিন্তু মঙ্গলবার সংসদে উত্থাপিত আইন কার্যকর হলে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বছরে এক বা একাধিকবার বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডিজেল, পেট্রোলসহ জ্বালানির মূল্য পরিবর্তন করতে পারবে। বছরে বারবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিল পাশ মানে গরিবদের সলিল সমাধি রচনা করারই নামান্তর।
তারা এই মহাদুর্যোগকালে লুটেরাগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা, জনস্বার্থ বিরোধী ও জনগণের পকেট কাটার এই বিল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারের একের পর এক জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সকল দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প পথ খোলা থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
এমএইচ/এমএইচএম