ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কবিতা

আনিফ রুবেদের দু’টি কবিতা

কবিতা ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৬
আনিফ রুবেদের দু’টি কবিতা

হৃথিবী রথের যাত্রী- ৪০

তোমার লালচোখ কতপথ ঘুরে এসে এই আমার কাছে বাসা নিলে। অঙ্গার এখন আমি- অজস্র চাপে, তাপে আর অনন্ত বিস্ময়ের মহানন্ত বিষে।

অথচ তুমি কত সহজে কাঁঠাল পাতার তাজ গড়ে রানি সাজো, আমাকে রাজা সাজাও আর কুড়িয়ে পাওয়া খালি কেকের বাক্সে শুয়ে থাকা পুতুলগুলোকে বলো প্রজা। জীবনের ভেতর দিয়ে তপ্ত চাকা আর সময়ের ধারালো চাকু চলছে মহল্লার মাস্তানের মতো। আর্মির বুটের মতো।

গিরিবালা, তোমার মেয়েমি এখন বাদ দিতে হবে, আমার ছেলেমি এখন বাদ দিতে হবে। নারকেল গাছের মাথায় বসে আছে যে বাঁদর, তার দিকে পাথর ছুড়ে চালাকি করে নারকেল নিতে হবে জাহাজ বোঝায়। সিন্দাবাদের গল্প পড়া শেষ এখন কাজে লাগাতে হবে।

অহেতুক রেগে ওঠো নিজের আঙুলের ওপর। ‘পৃথিবীর মাটি ধারালো’ বলে ফেল পায়ে একটু ফোস্কা পড়লেই। গিরিবালা, চল আমরা হরিণের চোখে ঘাস বুনে দিই, আর কাকতাড়ুয়াকে বলি- ‘বন্ধু হে, এত বড় মাঠের ধান একাই খেয়ো না, কিছুটা খেয়ে যাক কাকেরা, শালিকেরা। ’

হৃথিবী রথের যাত্রী- ৪২

‘গাছেরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নাগরিক আর সমস্ত মানুষেরা অশ্রেষ্ঠ। ’ তোমার ঘোষণা করা স্বভাব ঘোষণা করে দিলে অথচ বহুবার বললাম - ‘আজরাইলের ডানচোখে চড় মেরে আমি কানা করিনি। ঈশ্বরের নতুন শার্ট বিড়ির আগুনে আমি পোড়াইনি। ’ গিরিবালা স্বীকার করছি তোমার কথা, বৃক্ষদের মতো পৃথিবী প্রেমিক আর কেই-বা আছে আর আমিও এক মানুষ।

মানুষেরা হাটে-বাজারে বানরের গলায় দড়ি দিয়ে বানর খেলা দেখাচ্ছে, বৃক্ষের গলায় শেকল দিয়ে কেউ খেলা দেখাচ্ছে না বলে আশাচ্ছন্ন হবার মতো বয়স আর আমাদের নেই। বৃক্ষের কণ্ঠনালীতে ঢুকিয়ে দিয়েছে আগুনের হলকা।



বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৬
এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কবিতা এর সর্বশেষ