ইস্টিশন তো একটা কৃষ্ণবিবর
একটা রেললাইন
কিলবিল করতেছে রাতের গায়ে
মাঠ শুয়ে আছে মাঠের ’পরে
কী এক লম্পট আলো
খেলা করতেছে তার বুকে-মুখে-ঠোঁটে
আর দেখ, বেতাল আইল ধরে
একটা লোক হাঁটতেছে
ঘুমন্ত ইস্টিশনের দিকে...
ইস্টিশন একটা কুহকী গোলাপ,
ছড়াচ্ছে সুগন্ধী সিগন্যাল;
তার কালো পাপড়ির লাবন্যে
অবিরাম ঝরতেছে
যৌনগন্ধী চূর্ণ নক্ষত্রালোক।
আইলপথে-
যে লোকটা ধাবমান
তার হাতে কোন লাগেজ নাই,
অনেক সহস্র বর্ষ চেষ্টার পর
ঘুম থেকে আলাদা করতে পেরেছে যে স্বপ্ন
তার হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে সে হাঁটতেছে
ঘুমন্ত ইস্টিশনের দিকে...
ইস্টিশন মূলত একটা বামন-নক্ষত্র,
ছড়িয়ে দিতেছে অনির্ধারিত দূরত্বের সংবেদ।
লোকটি বিধ্বংসী নৈকট্যের কাছে
দূরত্বের পাঠ নিয়েছে
তাই সত্তাবিবিক্ত স্বপ্নটাকে ট্রেনে তুলে দিয়ে
সে ফিরে আসবে এই মাঠের বিস্তারে
তারপর
মাঠ হয়ে শুয়ে থাকবে মাঠের ’পরে;
লম্পট আলো
খেলা করতে থাকবে তার বুকে-মুখে-ঠোঁটে
বেতাল আইল ধরে
কুয়াশাদল হেঁটে যেতে থাকবে
ওই ঘুমন্ত ইস্টিশনের দিকে...
ইস্টিশন তো একটা কৃষ্ণবিবর,
অনির্দিষ্টকাল ধরে গিলতে থাকবে
আলো-কণা-স্বপ্ন-সত্তা-ঘুম...
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৬
এমজেএফ/