ঐশ্বর্য
সুমিত্রা,
তুমি জানতে চেয়েছ—
আমি কষ্ট পেয়েছি কিনা?
আমি এখন পাহাড়ের সাথে জীবন বদল করে নিয়েছি।
এখানে কষ্টগুলি জন্ম নিয়েছে সবুজ বৃক্ষ হয়ে—
আমার এই হৃদয় জমিনে।
শ্রাবণের মেঘমালার আলিঙ্গনে—
ঝর্নাধারা অশ্রু হয়ে ছুটে চলে সাগর সঙ্গমে।
লোনা মিষ্টি জলের মধুমিলনে—
অতৃপ্ত বাসনার উত্তাল ঢেউ-
তোমা হতে বহু দূরে ছাপিয়ে যায়,
শুধুই এই শ্রীহীন বালুচরে।
পড়ন্ত বিকেলের ঝিকিমিকি আলোর মিছিল-
শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে—
আমার কষ্টের সাথে।
হৃদয়ের যে ছায়াকে তুমি মিছেমিছি আড়ালে রাখো—
জোছনা হয়ে শুধু আমার বুকে আছড়ে পড়ে।
ঘরে ফেরা ক্লান্ত পাখির ডানায় ভর করে মধুময় স্বপ্নগুলি-
কোলাহল করে আজও পাখিদের গানের ভাষায়।
হাজারো মানুষের ভিড়ে, একান্ত নির্জনে নিরালায়-
কখনো ভুলতে পারিনি,
আসলে ভুলতে চাইনি তোমাকে।
আর কষ্ট?
সেতো আমার ঐশ্বর্য।
ঘৃণা
ভালোবাসার বলাকা আহত ঘৃণার তীরে-
উড়ে চলেছে বুকে রক্তক্ষরণ নিয়ে।
রক্তঝরা পথের নিশানায় পিছু নিয়েছে-
একদল অকৃতজ্ঞ হায়েনারূপী¬—
উদ্বাস্তু সভ্য মানুষ।
বুলেটের আঘাতে বিপর্যস্ত করছে-
আমার ফিলিস্তিনের গোলাপের বাগান ।
এসো বন্ধু!
হিংসা ভুলে, অধার্মিকতাকে পিছু ফেলে-
ক্ষণিকের পৃথিবীতে বাস করি ইনসাফের সাথে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এমজেএফ/