খুচরো ব্যথা
ধানগোছা বড় হচ্ছে – জলও সবুজাভ
এক আয়নায় সিঁথি কেটে
মিটমিট হাসছে
চোখে কে গুঁজেছে সবুজ
এ হলুদ দুনিয়ার!
ঝুরঝুরে বাতাসে সমুদ্রের উছলা
বকের পায়ে জলোমেঘে উড়ছে
এ দিনে যে ভেঙেছে খেলাঘর
তাকে মনে পড়ছে
বর্ষার তথ্য ফাঁস
আক্রান্ত বৃষ্টির পেয়ালায়
চুমুকে সন্ন্যাসী—
প্রতি শ্রাবণে মাতলামি করে,
ভিজিয়ে দেয় বর্ষার পাজামা।
উতরানি সন্ধ্যায় এ ঘর
ওই ঘর পায়চারি শেষে,
পুকুরে স্নান করে
দাঁড়কাক খুঁটির তারে বসে
উঁকি মারে ঝুলির ভেতর!
হঠাৎ কফিশপে
নায়ক ঢুকে গেছে ম্যানহোলে
নায়িকার বাঁচাও বাঁচাও
চেঁচামেচিতে শীতঘুম তাড়াচ্ছি—
বাদামি রোদের নীল তাঁবুর
কফিশপের বারান্দায়।
ফিক্ করে
দাঁত গলে মধ্যবিত্তের হাসি,
হাতের মধ্যে হাত ঘঁষাঘষি
খসে যাচ্ছে রক্তাক্ত
জলপাই পাতা।
একটি নূরানি সন্ধ্যা
নদীটি শুকিয়ে গেলে
মরিচ ক্ষেত পোড়ানোর গন্ধ
সূর্যের অ্যালকোহোলিক চুম্বনে।
কাদাজলে জিওল মাছের
ছটফটানিতে মন বৌচি খেলে
ঢেউ গুঁজিয়ে খড়ের গম্বুজে
শালিকজোড়া খোঁজে
তাগড়া পোকা
জোনাক জ্বলে ঝোপে
ঝাড়ে—
প্লাবিত জোছনার প্রার্থনাসভা,
ভাঙাপুল পেরিয়ে
সন্দেহজনক মেঘের হাঁটাহাঁটি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
এসএনএস