অতিক্রান্ত
বিরহের নামে লেখা হয়ে গেছে সেইসব পুরাণ—
কত কাল আগের স্মৃতি ঘুণ ধরে গেছে পুরনো আসবাবের মতন,
সেইমতো কিছু অস্ফুট ক্রন্দন
মৌমাছির মিশ-লয়ে গুঞ্জন,
আজ ভরা জোয়ারের ঢেউ
দূরবর্তী শহরের রেলিংয়ে,
আজ তোমার মতো দাঁড়িয়ে কেউ
করুণ বিলাপ করছিল যেতে মৃত্যুর দিকে গমন; কোনো জঙ্গল
পেরুনো পালকিবাহকের ভয়ার্ত সুরে তার প্রতিধ্বনি কখন যেনো
ভাঙা টুকরো টুকরো হয়ে বাতাসের ইথারে ছড়িয়ে গেছে।
বাইশ ক্যারেটের খাঁটি দুঃখ
সারা রাত ধরে জংলায় কচুরিপানার উপর,
নিঃসীম একা-একা ডেকে গেছে রক্তাক্ত ডাহুক পাখি;
একলা বারান্দায় শূন্যতার রেলিংয়ে হাত ছুঁয়ে,
কাল রাতে তারাদের সাথে তুমিও জেগে ছিলে নাকি?
আদিগন্ত বিকশিত প্রেইরি আর মথুরার বাহার,
উচ্ছিষ্ট মথুরা ঘাসের বীজ সেও কি কারো আহার?
জানেন বিভূতিভূষণ অরণ্য বিষয়ক সমস্ত পাঁচালী
আজ কেবলই বিরানভূমি এইসব—
সেতারের সুরে বেজে যাচ্ছে সেই বিষণ্ন কাওয়ালি
আমাকে গোগ্রাসে গিলে নিচ্ছে এই অনিদ্রা আর অবসাদের অজগর,
পুরোনো প্রেমের ঘড়া যেনো তাতে লুকায়িত আছে বহুমূল্য মোহর;
উপদ্রুত ভাঙন জাগে মেঘমল্লার মুখে তারস্বরে ছিঁড়ে যাওয়া পাল,
আমিই মাঝিয়ান মরিয়া বৈঠা হাতে নিবিঢ় তালুবন্দি হাল--
শীতলপাটির নকশা করা চাঁদ কার্যত এই আলোর খেলায় রত,
বুকের জায়নামাজে ফুটে আছে তুমি একান্ত এইমতো;
বলো, বাইশ ক্যারেট খাঁটি দুঃখের এই প্রেম আর কতদূর বাকি,
কাল রাতে তারাদের সাথে তুমিও জেগে ছিলে নাকি?
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৭
এসএনএস