বসন্ত পর্যায়
নেপথ্যের কণ্ঠ রেকর্ড প্লেয়ারে চলতে ভুলে গেছে
আমরা যারা সূত্রধর সেই থেকে স্থির, নড়ছি না
শুরুর শুরু নেই দেখে এমনকি প্রেক্ষাগৃহ স্টিল হয়ে গেছে
গোটা জগৎসভা আমাদের দিকে হাঁ হয়ে পাথর হয়ে যাচ্ছে
আমরা দেখছি, যেতে দিচ্ছি। কেউ বুঝছে না শুরু এমনকি
আর সূত্রধরের হাতেও নেই।
সব ঝিঁঝিঁ হয়ে গেছে
তোমার বাসনার ভিতর, জ্বলে আছে— সে দূরের কুপি রেখে দেখো
দেখো জ্বলে জ্বলে কালি পড়ে কিনা। আপাত মাধুর্যের কাছে এসে পড়ে
দেখো, তার সম্রাট তখনও বাকি রয়ে গেছে কিনা। শুধু সন্দেহের বশে
সে দরজা পেরিয়ে কান পেতেছিল। তাতে সব ঝিঁঝিঁ হয়ে গেছে।
কুকুরও ঝিঁঝিঁ। রাতের জনহীন বাইকও ঝিঁঝিঁ।
কেউ বিশ্বাস করবে না— এতটা শব্দের ভিতর, ক্রমে স্বাভাবিক হয়
বাজুতে নৈশশিস্ ওঠে, যে দৃশ্যত কোথাও নেই, তার ছায়া হেলে পড়ে
যখন সম্রাট বাকি পড়ে আছে, এও স্বাভাবিক বলে মনে হয়।
অতঃপর যুক্তির ছাদ ওঠে। একে একে হাত-পা-মুখ-মাথা ঘুমে কাদা
ঠিক তখনই তোমাকে অসাড় রেখে
তুমি বেরিয়ে আসছ কুপি জ্বেলে।
তোমাকে কি তবে আহত করেছে— আর কেউ
যাহা পক্ষ তাহাই বিপক্ষ
লেখার পক্ষ নিয়ে একপ্রকার ভান করি
ও যতসম্ভব তাহার ভঙ্গি এড়িয়ে চলি
পাশের ঘরে কেউ থাকলে বাহানা খুঁজে চলে আসি
কেবল এই খোঁজের ‘জ’-এ অতিরিক্ত চাপ পড়ায়
সংলাপ ও কাটাকুটি অতঃপর বিরক্ত করে
আটকানোর মতো কোনও ক্লিপ, পর্দাও বাকি থাকে না
ফলত তর্কের মাড় ফালা ফালা চিরে যায়
মলম লাগাতে এসে দেখি, ঘর নেই
কথা নেই, এইখান থেকে একটা লেখা শুরু হয়ে আছে
একটা বহুতল বাড়ি সেইথেকে ভেঙে পড়ছে আমার ভেতরে
ভেংচি
পুরোটা মনে আসছ না, তবে কি পেশীতে, শরীরে
অন্তত কোনও ভাঁজে ঢেউ কিংবা খাদের মতো অপেক্ষা করছ?
নেই হাওয়ায় পাতা নড়লে, ভূত নয় নিজেকে কিংবদন্তী লাগে
ও উহ্য তোমাকে রপ্ত করার আকাঙ্ক্ষায় থাকি
চারিদিকে চরিত্ররা বাজারে যায়, পার্স খোয়ায়
বাঁকের কাছাকাছি এসে দেখি কেউ বা হাঁটা নকল করছে তোমার
অনুসরণ করার দূরত্বে এলে দেখি কোথাও আসল নেই
তোমার তুমি-ই নেই
এই লেখাটুকু হবে বলে পেশীতে বসে ভেংচি কাটছিলে
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
এসএনএস