জানুয়ারি
ধেয়ে আসছে স্রোত জীবনের গতিপথে। তারাদের শহর জুড়ে কায়াদের গ্রামীণ জীবন।
ফেব্রুয়ারি
লালমাটির ঠোঁট ছুঁয়ে নীবেরু গ্রহ যদি দুনিয়াতে নেমে আসে আল্লাহর কসম কলাবতি তোমার পায়ে নিজেকে বিলিয়ে দেবো। নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে পৃথিবীর আদিম কোনো ভিটে রক্ষায় যদি জড়িয়ে যাই মনে রেখ কলাবতি তোমার শক্তিতে জয় করে নেবো সময়ের সন্তান। যদি তোমার নাকের ঘাম থেকে নেমে আসে স্বাদের সুঘ্রাণ তবু পিঁপড়াদের সংগ্রহ থেকে নেবো না রাতের খাবার। দিনের আলো ফুরিয়ে গেলে নাভির তল থেকে চুষে নেবো প্রেমের শরাব। যদিও চন্দ্রাহারের সময় আমাকে ডাকো আয়েশ করে, তোমার চুলের ঘ্রাণ থেকে নেবো অক্সিজেন। তবুও যদি না মেটে প্রেমের ক্ষুধা দুধের বোঁটায় বসে ছুঁয়ে দেবো শালিখের ঠোঁট। বাবুইয়ের বাসাগুলো কেটে কেটে বানাব প্রেমের মহল।
মার্চ
কলাবতির কলের শহর। গায়ের পাঁজরে কাঁপে বালুর ঝড়। ধূলিকণার কানের পাশে শুয়ে থাকে জীবনের গান। পাঁয়তারা পাতিহাসের কাঁধে বসে পা ধুলিয়ে নাচে মুখের থলি। যাত্রার পালা শেষে গলিপথের ভিড়ে হারিয়ে যায় লালশাক। সীমানার সুর তুলে খবরের সুদীপ্ত আয়োজন। তারাদের পাতাগুলো সীমাহীন রাতে মিলিয়ে গেলে শহরের বুক জুড়ে আসে কার্টুনের চরিত্র। ডালপালাগুলো হাত-পা গুটিয়ে দৌড়ায় শাঁকেরকরাত। ইঁদুরের লেজ ধরে হারিয়ে যায় দিনের যাত্রা। অতঃপর সাঁতারু বিমান থেকে লাফিয়ে নিরুদ্দেশ ডুবে যায় আমাদের অতীত।
এপ্রিল
কলাবতি সন্ধ্যা নামার আগেই বাড়ি ফিরে এসো। ছোট্ট পায়ে আলতা পড়িয়ে দেবো। কিন্তু তোমার দিকে যতোই এগিয়ে যাই, ততোই পিছিয়ে পড়ি। সময় বড় ক্লান্ত। মায়ামাখা চোখের ভেতর থেকে চাঁদের রশ্মি বেড়িয়ে এলে আমার কান্না পায়। ও ছায়া ভাঁজে ভাঁজে পুতে রেখো হতাশার নীলজল, আমি একটু ঘুমিয়ে নেবো।
মে
তোমার ডাকে সাড়া দিয়েই পবিত্র মে দিবসের পবিত্র মিছিলে নিজেকে সমর্পণ করেছিলাম। চলমান এই যাত্রায় মিছিলের খবরসহ আর কোনো বার্তা নেই। বিশ্বাস ঘাতক বলে তাড়িয়ে দিয়েছো মহামিলনের খানিক পূর্বে। স্লোগান দিতে আসা হাজারো জনতা হাঁটে আর কাঁদে, কাঁদে আর হাঁটে। শেষবারের মতো কোনো উড়োচিঠি যদি আসে বিশ্বাস করো, শতভাগ প্রেমসহ শামিল হবো মিছিলের সারিতে। আমাকে সঙ্গে নিও।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
এসএনএস