এখনো কেউ ডাকে নিমীলিত চোখে
এ’পাশের বাড়িটা তমালিকার আর ও’পাশের
বাড়িটা রাজ-জুয়ারির;
অনেক আকাঙ্ক্ষা আর তীব্র ইচ্ছেতে ভরপুর
তেতে থাকা চৈত্রের উঠোন; ফুরসতে
অপার্থিব আর অলৌকিক পুণ্ডরীক কিছু পাওয়ার আশায়
অপেক্ষায় থাকে বহুদিন।
এমনি ফুরোয় সকাল, এমনি ফুরোয় বিকেল
এমনি-এমনি রোজ ফুরিয়ে যায় পঁয়ত্রিশটি দুপুর
অনেকটা কাছাকাছি এসেও কিছু বলতে গিয়ে
থমকে দাঁড়ায় উচ্ছ্বসিত নূপুর; অবলীলায়
রাতের মুঠোতে পুরে যায় নিস্তরঙ্গ ঘোর।
ধীরে ধীরে তমালিকার ছায়া হেলে যায়
ভারবাহী বুক খুলে দেয় মেঘেদের ডাকবাংলো
তরতরিয়ে বেড়ে উঠে শস্যের কলেবর
অতঃপর বৃষ্টি নামে কবিতা হয়ে;
বাড়তে থাকে কবিতার বহর
চিত্রনাট্য টুকে রাখে জুয়ারি ও তার নোটবুক
ক্যাফেতে নামে ঢল।
হিরণ্যমাখা দুপুরে কে শুধোয়?
এ’পাশের বাড়িটা ছিলো তমালিকার
আর ও’পাশের বাড়িটা ছিলো জীবন-জুয়ারির
পূর্ণেন্দুতে একাকার শুধু সমীকরণে রয়ে যায়
সন্ধি-বিচ্ছেদের প্রচণ্ড ভুল!
প্রহর
ফিরছি বহু বছর পরে
আবছা হতে থাকা বাড়িটার সদর-দরজায়।
এখনো সেই নিরেট দেয়ালের চত্বর!
হারিয়েছে হাড়-গোড়, কুঁড়িভরা হৃৎস্পন্দন;
কড়া নেড়ে চলে কিছু চকমকি পাথর,
লুপ্ত হয়ে যাওয়া শ্রবণ!
আজো মৃদু বাতাসের অপেক্ষায় থাকে
এক জরাজীর্ণ ভেন্টিলেটর!
শুধুমাত্র আড়ালে পড়ে রয় দু-এককথা; কিয়ৎ
পাহারাবিহীন সারিবদ্ধ প্রহর।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
এমজেএফ